সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদে ভোট হয় রোববার। রাতে ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্যপদে প্রথমে মোরগ প্রতীকের প্রার্থীকে জয়ী ঘোষণা করেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আখতার হোসেন। এর আধা ঘণ্টা পরই ঘুড়ি প্রতীকের প্রার্থীকে জয়ী ঘোষণা করেন তিনি।
প্রথমে জয়ী ঘোষণা করা সেই মোরগ প্রতীকের সিল মারা ব্যালট পেপার ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তা স্বাক্ষর করা রেজাল্টশিট এবার মিলেছে ধানের জমিতে।
ঠাকুরপাড়া ভোটকেন্দ্রের পাশে ছাগল চরাতে গিয়ে ধানক্ষেতে মঙ্গলবার সকালে শিশুরা কুড়িয়ে পায় এসব কাগজ। সেই ব্যালট পেপার ও রেজাল্টশিট নিয়ে পরে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মোরগ প্রতীকের প্রার্থী নুরুল আমিন।
মঙ্গলবার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে নুরুল আমিন জানান, ভোট শেষে প্রথমে ঘোষণা করা ফলাফলে তালা প্রতীককে আব্দুল মমিন ৩৮৭, মোরগ প্রতীকে নুরুল ইসলাম ৬১৭ ভোট, ফুটবল প্রতীকে শামছুল হক মোল্লা ৪৮০ এবং ঘুড়ি প্রতীকে সেরাজুল ইসলাম ৩৮৭ ভোট পান।
তবে আধা ঘণ্টার ব্যবধানে দেয়া পরবর্তী ঘোষণায় সবার ভোট আগেরটা থাকলেও ঘুড়ি প্রতীকে সেরাজুল ইসলামের ভোট দেখানো হয় ৬৫৫টি।
ঠাকুরপাড়া ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আকখতার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি প্রথমে যে রেজাল্টশিট লিখেছিলাম, তা ভুল হওয়ার কারণে সেটা ছিঁড়ে ফেলে দিয়ে নতুন করে রেজাল্টশিট লিখে ঘোষণা দিয়ে চলে আসি।
‘তবে ধানের জমিতে কীভাবে সিল মারা ব্যালট পাওয়া গেছে তা আমার জানা নেই। তবে রেজাল্টশিটটা ছিঁড়ে ফেলে দেয়া আমার ঠিক হয়নি। আর আমি কোনো প্রকার আর্থিক সুবিধা নিইনি কোনো প্রার্থীর কাছ থেকে।’
রাজাপুর ইউনিয়ন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ইলিয়াস হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা ও বিভিন্ন অভিযোগের জন্য নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল রয়েছে। মোরগ প্রতীকের প্রার্থী নুরুল আমিন লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আমার কাছে।
‘বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য আমরা প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আকখতারকে ডেকেছি। তার কাছ থেকে জানার পর নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল রিপোর্ট আকারে দেব, তখন নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল বিষয়টির সুরাহা করবে।’