জয়পুরহাট জেলা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রুস্তম আলীকে প্রত্যাহারের দাবিতে তার আদালত বর্জন করেছেন আইনজীবীরা।
তার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে ২৮ নভেম্বরের মধ্যে প্রত্যাহারের আলটিমেটাম দিয়েছিলেন আইনজীবীরা।
নির্ধারিত সময়ে দাবি আদায় না হওয়ায় সোমবার সকাল থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বর্জন করেন আইনজীবীরা।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আইনজীবী সমিতি সূত্রে জানা গেছে, ১০ নভেম্বর জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভায় ২৮ নভেম্বরের মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রুস্তম আলীকে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
এ সময়ে তাকে প্রত্যাহার করা না হলে ২৯ নভেম্বর থেকে আদালত বর্জনসহ কঠোর আন্দোলনের সিদ্ধান্ত হয়।ওই সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহনুর রহমান শাহীন, মোস্তাফিজুর রহমান, হেনা কবির, মোমিন আহম্মেদ চৌধুরী, রাব্বিউল হাসান মোনেম, তৈয়ব আলী ও মোস্তাফিজুর রহমান।জেলা জজ আদালতের কয়েকজন আইনজীবী জানান, আলটিমেটাম অনুযায়ী দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে ওই বিচারকের আদালত বর্জনের জন্য তাদের নোটিশ দেয়া হয়েছে।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, ‘মোটা অঙ্কের টাকা ঘুষ নিয়ে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন মামলা থেকে আসামিদের খালাস দেয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তার স্বেচ্ছাচারিতা ও ঘুষ-দুর্নীতির জন্য আইনজীবীরা ক্ষুব্ধ ছিলেন।
‘সমিতির সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিতে ওই বিচারককে প্রত্যাহারের আলটিমেটাম দেয়া হয়েছে। আলটিমেটামের পরও তাকে প্রত্যাহার না করায় সোমবার থেকে ওই বিচারকের আদালত বর্জন চলছে। তাকে প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আদালত বর্জন অব্যাহত থাকবে।’
জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার সরকার বলেন, ‘আইনজীবীদের আদালত বর্জনের একটি চিঠি আমরা পেয়েছি। আইনজীবীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রুস্তম আলীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে তাকে প্রত্যাহারের দাবিতে আদালত বর্জন করেছেন।’