পাকিস্তানে আটক বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) জাহাজ বাংলার অগ্রদূত ছাড়া পেয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএসসির নির্বাহী পরিচালক পীযুষ দত্ত।
তিনি জানান, পাকিস্তানের শিপিং প্রতিষ্ঠান বাল্ক শিপিং এজেন্সিসের সঙ্গে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের জাহাজ বাংলার অর্জুনের ব্যবসায়িক লেনদেনে জটিলতা ছিল। তাদের পাওনা আদায়ে পাকিস্তানের আদালতে ওই শিপিং প্রতিষ্ঠান মামলা করে। পাকিস্তানের কাসিম বন্দরে বাংলার অগ্রদূত নোঙরের তথ্য পেয়ে তারা জাহাজটি আটক করে। গত রোববার জাহাজটি আটক করা হয়।
তিনি আরও জানান, ২০২০ সালে বাংলার অর্জুনের সঙ্গে পাকিস্তানি শিপিং কোম্পানির ব্যবসায়ীক চুক্তি হয়, যার লেনদেন বাবদ প্রায় সাড়ে ২০ হাজার ডলার তাদের পাওনা দাবি করে আদালতে অভিযোগ করা হয়। ওই মামলায় বাংলার অর্জুনকে আটক করে পাওনা আদায়ের আবেদন করা হয়। পরে বাংলার অর্জুনকে না পেয়ে তারা বাংলার অগ্রদূত জাহাজকে আটক করে।
পীযুষ দত্ত বলেন, বাংলার অগ্রদূত জাহাজ আটকের খবর পেয়ে ওই দেশের শিপিং কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি মিটিয়ে নেয়া হয়েছে। সোমবার রাতে জাহাজটি ছাড়া পেয়েছে।
আশির দশকের প্রথমদিকে বিএসসির বহরে ২৮টি জাহাজ ছিল। পরে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সে সংখ্যা বাড়িয়ে বিএসসিতে মোট ৪৪টি জাহাজ যুক্ত করা হয়।
বয়সজনিত কারণে এবং বাণিজ্যিকভাবে অলাভজনক বিবেচিত হওয়ায় বিভিন্ন পর্যায়ে ৩৬টি জাহাজ বিক্রির পর বর্তমানে করপোরেশনে জাহাজের সংখ্যা আটটি।
এর মধ্যে তিনটি বাল্ক ক্যারিয়ার যুক্ত হয় ২০১৮ সালে। এ ছাড়া তিনটি প্রোডাক্ট ওয়েল ট্যাংকার যুক্ত হয় ২০১৯ সালে।