ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যে আরও একটি গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমান।
রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মঙ্গলবার সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এই বিভাগীয় সমাবেশ হয়।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আমান বলেন, ‘১৮-এর নির্বাচনের মতো শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় আসতে দেবেন? না দিলে, সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করার জন্য প্রস্তুত আছেন? কি করতে হবে তার জন্য জানেন? ওই যে ছাত্ররা বলেছেন আমরা রাষ্ট্রের মেরামত চাই। এই রাষ্ট্র মেরামত করতে হলে আগে হাসিনাকে সরাইতে হবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হলে হাসিনাকে সরাইতে হবে। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে হাসিনাকে সরাইতে হবে। আপনারা প্রস্তুত আছেন?
‘৫২-এর সময় যেমন রক্ত দিয়েছিলাম, ৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানে রক্ত দিয়েছিলাম, ৭১-এ মহান স্বাধীনতা, আর ৯০-এ রক্তের বিনিময়ে আবার গণতন্ত্র পেয়েছিলাম। এই ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে আরেকটি গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আবার গণতন্ত্র আদায় করতে হবে।’
সমাবেশে হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতি দেখে আমানুল্লাহ আমান বলেন, ‘গণতন্তের মা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার জন্য আল্লাহর রহমতে এই ঢাকায় মানুষের ঢল নেমেছে। হাসিনা তুমি এসে দেখে যাও। সমাবেশ আজ মহাসমাবেশে রূপ নিয়েছে। হাসিনার শুভবুদ্ধির উদয় হোক। অবিলম্বে আমাদের নেত্রীকে মুক্তি দিন। অবিলম্বে তাকে বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন। আর না হয় আপনাকে টেনে-হিঁচড়ে গদি থেকে নামানো হবে।’
ডাকসুর এই সাবেক ভিপি বলেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আপনাদের উদ্দেশে একটি বাণী দিয়েছেন। যদি তুমি ভয় পাও তবে তুমি শেষ, যদি তুমি রুখে দাঁড়াও তবে তুমি বাংলাদেশ।’
‘সেই শহীদ জিয়ার বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য, তারেক রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার জন্য, দেশনেত্রীর গণতান্ত্রিক দেশ ফিরিয়ে পাওয়ার জন্য রাজপথে আরও একটি যুদ্ধ, আরও একটি মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত আছেন? দুই হাত তোলেন। দুই হাত তোলেন। দুই হাত তুলে আমরা এই শপথ গ্রহণ করি।’
এ সময় সব নেতাকর্মী এবং মঞ্চে থাকা নেতারা দুই হাত তুলে স্লোগান ধরেন, ‘মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। তারেক রহমান বীরের বেশে, আসবে ফিরে বাংলাদেশে।’
আমান বলেন, ‘আসুন আমরা এক দফা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকার পতনের শপথ নিই। আগামী কর্মসূচিকে সফল করি।’
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শাজাহান ওমর, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তৈমুর আলম খন্দকার, আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।