লিভার সিরোসিসের কারণে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আবার রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে তিনি এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘কাল সন্ধ্যায় এ জেড এম জাহিদ হোসেন আমাকে ফোন করে বললেন যেতে। তার (খালেদা জিয়ার) চিকিৎসা করছেন প্রায় ১০ জন। তারা বসে আছেন। প্রত্যেকের মুখ অত্যন্ত...বলা যেতে পারে অত্যন্ত চিন্তিত মুখ।
‘আমি ঘরে ঢুকে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলাম কী হয়েছে। তারা বললেন, আমরা যেটা আশঙ্কা করেছিলাম, যেটা ভয় পাচ্ছিলাম। আমরা যেটা বলেছি, যেকোনো সময় আবার রক্তক্ষরণ হতে পারে। বন্ধুগণ কাল সন্ধ্যায় আবার তার রক্তক্ষরণ হয়েছে।’
খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড গত রোববার সংবাদ সম্মেলনে জানায়, বিএনপি নেত্রীর যকৃৎ বা লিভারে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। একবার এই রক্তক্ষরণ সামাল দেয়া গেছে। তবে এখন তার যে অবস্থা, সেটি আবার সামাল দেয়া কঠিন হবে।ৎ
বাংলাদেশে দুই থেকে তিনবার রক্তক্ষরণ সামাল দেয়ার কারিগরি সুযোগ নেই দাবি করে যত দ্রুত সম্ভব তাকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন চিকিৎসকরা।
১৩ নভেম্বর বিকেলে খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে এভারকেয়ারে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হওয়ায় পরের দিন ভোরে তাকে সিসিইউতে নেয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তার।
খালেদার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য তার পরিবার ও দল থেকে সরকারের প্রতি বারবার আহ্বান জানানো হলেও তাতে সাড়া মিলছে না।
দণ্ডবিধির ৪০১ ধারা ব্যবহার করে দুর্নীতির দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের দণ্ড স্থগিত করিয়ে ২০২০ সালের মার্চে তার মুক্তির ব্যবস্থা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে সময়ই শর্ত ছিল তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।
দল থেকে বলা হচ্ছে, তাদের নেত্রীর অবস্থা ‘ভ্যারি ক্রিটিক্যাল’। তাকে অবিলম্বে বিদেশে নেয়া দরকার।
ফখরুল বলেন, ‘চেয়াপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারকে বিভিন্ন দেশ থেকে চাপ দিয়েছে। সরকার মিথ্যা কথা বলছে। আপনারা জনগণের সঙ্গে প্রত্যারাণা করেন।
‘আপনারা বলছেন আইনের কারণে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে দেয়া হচ্ছে না। আপনারা মিথ্যা কথা বলছেন। আইন অনুযায়ী বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানো যায়। বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে আপনাদের (সরকার) কোনো দিনও মাফ করবেন না দেশের জনগণ।’