জনগণের করের টাকা যাতে অপব্যবহার না হয় সেজন্য প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পাশাপাশি তিনি সবাইকে কর দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতীয় আয়কর দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘করের টাকা জনগণ দেয়। এই টাকা যাতে মিসইউজ না হয়। যেজন্য কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
করের টাকা সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের দেয়া করের টাকা শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ জনগণের কল্যাণেই ব্যয় হয়। উন্নয়নের চাহিদা মেটানোর জন্য যোগ্য সবাইকে কর দেয়া দরকার। যত বেশি আয়কর দেয়া যাবে, দেশ তত বেশি উন্নত হবে।’
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ রহমাতুল মুনিম। ‘রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন ও আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে আয়করের ভূমিকা’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনবিআরের সদস্য শামসুদ্দিন আহমেদ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, কর আহরণ বৃদ্ধির জন্য নতুন নতুন খাত চিহ্নিত করতে হবে। অডিটের নামে হয়রানি বন্ধ করতে হবে। এখানে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমদানিনির্ভর দেশ থাকতে চাই না। মেড ইন বাংলাদেশের কার্যক্রমকে আরও জোরদার করতে হবে।’
ভুয়া অডিট রিপোর্ট বন্ধ হওয়ায় খেলাপি ঋণ হার কমে যাবে বলে জানালেন আইসিএবির মাহমুদুল হাসান খসরু। ন্যূনতম কর হার তুলে দেয়ারও প্রস্তাব করেন তিনি।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন আহমেদ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে এনবিআরের সংস্কার জরুরি বলে মত দেন।
অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণে আরও বিনিয়োগের প্রস্তাব করে এনবিআরের সদস্য আলমগীর হোসেন বলেন, এখন ১০০ টাকা রাজস্ব আদায়ের জন্য খবর হয় ৪০ পয়সা। এখানে আরও বিনিয়োগ করলে দীর্ঘ মেয়াদে রিটার্ন আরও ভালো পাওয়া যাবে।
এনবিআরের আরেক সদস্য মাসুদ সাদিক জানান, এবার ৫০ হাজার করদাতা ই-রিটার্ন দাখিল করেছেন। আগামীতে লক্ষ্য হবে ৮০ শতাংশ উন্নীত করা।
সভাপতির বক্তব্যে এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা বলেন, ‘টেক্স নেট বৃদ্ধি করা জরুরি হয়ে পড়েছে। এটার জন্য কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। আমরা চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিল করছি।’