রাজধানীর রামপুরায় বাসচাপায় নিহত শিক্ষার্থী মো. মাইনুদ্দীন ইসলামের (দুর্জয়) মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ রামপুরা তিতাস রোডে তার বাড়িতে নেয়া হয়েছে।
রামপুরা থানা সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ছয়টার দিকে মাইনুদ্দীনের মরদেহ ঢামেক হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসা হয়। সুরতহাল শেষে, দুপুরে ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল নাঈমা মরদেহ ময়নাতদন্ত করেন।
নিহতের ভাই মনির জানান, তিতাস রোড এলাকায় জানাজা শেষে তার ভাইকে গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানার হালুয়াপাড়া গ্রামে নেয়া হচ্ছে। সেখানে দ্বিতীয় বার জানাজা শেষে এলাকার কবরস্থানে ভাইকে দাফন করা হবে।
তিনি বলেন, সোমবার তার ভাইয়ের ১৮ তম জন্মদিন ছিল। রাতে সে রামপুরার পলাশবাগে এক শিক্ষকের বাসায় যায় দেখা করতে। এর কিছুক্ষণ পরেই তাদের কাছে ফোন করে একজন জানান, মাইনুদ্দীন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে। এরপর দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে রাস্তার ওপর ভাইয়ের রক্তাক্ত নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি জানান, দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে মাইনুদ্দীন ছিল সবার ছোট।
রাজধানীর রামপুরায় অনাবিল পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় নিহত মাইনুদ্দীন একরামুন্নেসা স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রামপুরা বাজারে সোনালী ব্যাংকের সামনের রাস্তায় ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয় মানুষের মাঝে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে তারা বেশ কয়েকটি বাসে আগুন দেয় এবং ভাঙচুর করে।