বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ওমিক্রন: কোয়ারেন্টিনে সশস্ত্র বাহিনীকে যুক্ত করার চিন্তা

  •    
  • ৩০ নভেম্বর, ২০২১ ১৪:৩২

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই, সশস্ত্র বাহিনী এই কোয়ারেন্টিন ম্যানেজ করবে। এখনও যে দেশে ওমিক্রন পাওয়া যায়নি, সেখান থেকে (আফ্রিকা) করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে আসা যাবে, কিন্তু ভবিষ্যতে যদি সংক্রমণ বৃদ্ধি পায় তাহলে সেদেশ থেকে আসলে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করার কথা আমরা ভাবছি।’

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন রোধে আফ্রিকা মহাদেশের কোনো দেশ থেকে কেউ আসলে তাকে ১৪ দিনের কঠোর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই কোয়ারেন্টিনে সশন্ত্রবাহিনীকে যুক্ত করার কথাও আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

ওমিক্রম মোকাবিলা প্রস্তুতি সম্পর্কিত আন্তমন্ত্রণালয় সভার বৈঠক শেষে বিস্তারিত গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে তুলে ধরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন, ওমিক্রন ভেরিয়েন্টটি খুবই সংক্রামক, ডেল্টা ভেরিয়েন্টের চেয়েও অনেক বেশি সংক্রমণ করার ক্ষমতা রাখে। আক্রান্ত হলে রোগীর মধ্যে মৃদু সিম্পটম থাকে। একটু দুর্বলতা ও হালকা কাশি থাকে। জ্বর হয় না, এ কারণে বোঝা মুশকিল।

‘আমাদের হাসপাতালগুলো প্রস্তুত আছে। করোনা চিকিৎসার জন্য আমরা যে অবকাঠামো গুলো তৈরি করেছি সেগুলো এখন সে অবস্থাতেই আছে। বেড ১৮ হাজার আছে। ১২০ টি হাসপাতালে আমাদের সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন আছে। অক্সিজেনের পরিমাণও এখনও অনেক, প্রায় ৩০০ টনের কাছাকাছি বাংলাদেশ তৈরি করছে।’

তিনি বলেন, ‘বিদেশ থেকে যখন কেউ আসবে বিশেষ করে আফ্রিকার কোনো দেশ থেকে বা সাউথ আফ্রিকা থেকে। আমরা চাইব এই মুহূর্তে এটাকে নিরুৎসাহিত করতে। ওখান থেকে যারাই আসুক তাদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে বাধ্যতামুলক। সেটা হোম কোয়ারেন্টিন নয়, ইন্সটিটিউশনাল কোয়ারেন্টিন।

‘এটার ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত শক্ত হতে হবে। আমরা চাই, সশস্ত্র বাহিনী এই কোয়ারেন্টিন ম্যানেজ করবে। এখনও যে দেশে ওমিক্রন পাওয়া যায়নি, সেখান (আফ্রিকা) থেকে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে আসা যাবে, কিন্তু ভবিষ্যতে যদি সংক্রমণ বৃদ্ধি পায় তাহলে সেদেশ থেকে আসলে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করার কথা আমরা ভাবছি।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘করোনা টেস্টের বিষয়ে আমরা ৭২ ঘণ্টার পরিবর্তে চিন্তা করছি এটা ৪৮ বা ২৪ ঘণ্টায় নামিয়ে আনা যায় কি না। এটাও আমরা চিন্তা করছি, কিন্তু কমিয়ে আনব এটা ঠিক আছে।

‘আমাদের বর্ডারে মনিটরিং আরও জোরদার করতে বলা হয়েছে। কোয়ারেন্টিনের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করার কথা বলা হয়েছে। আমাদের পাশের দেশ, যেখানে অনেক মানুষ যাওয়া-আসা করে, সেটাও কিছুটা কমিয়ে আনা যায় কি না এ বিষয়গুলো আমরা আলোচনা করেছি। এটাও আমরা চেষ্টা করব।’

সরকারে সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠি দেয়া হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই যে সামাজিক অনুষ্ঠান, রাজনৈতিক অনুষ্ঠান বা ধর্মীয় অনুষ্ঠান সীমিত করা হোক।

‘নতুন করে কোনো অনুষ্ঠান যেন গ্রামগঞ্জে না নেয়া হয়, সেদিকে আমরা একটা পরামর্শ দেব। এছাড়াও বিদেশ থেকে যদি কেউ আসে তারা যদি বাড়িতে যায় সেটাকেও যেন মনিটরিংয়ে রাখে। প্রয়োজনে পতাকা লাগিয়ে দেবে।’

পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত স্কুল কলেজে পাঠদান বর্তমান নিয়মেই চলবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘স্কুল কলেজের বিষয়ে এখন যে অবস্থায় আছে সে অবস্থায়ই আমরা থাকব বলেছি। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত স্কুলের দিন যেন না বাড়ায় সেটা আমরা বলেছি।

‘ওমিক্রন এখনও দেশে আসেনি। তাই জীবন যাত্রা যেমন রয়েছে তেমনই চলবে। পরীক্ষাও চলবে। যেখানে সতর্ক হওয়ার দরকার আমরা সতর্কতা অবলম্বন করব।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি যে. সকলেই যাতে স্বাস্থ্যবিধি মানে। অর্থাৎ বাস-ট্রেনে চলাচল করার সময় যেন সবাই মাস্ক পরেন। আর না পরলে যাতে জরিমানার আওতায় নিয়ে আসা হয়। মোবাইল কোর্টও করতে বলা হয়েছে।

‘ডিজি হেলথকে বলেছি তারা যেন একটি মনিটরিং সেল তৈরি করে। এর মাধ্যমে সব জায়গার খোজ খবর রাখা হবে এবং তড়িৎ সিদ্ধান্ত তারা নেবে।’

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের কী হবে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সচিব এখানে ছিলেন। আমরা তাদের বলেছি স্বাস্থ্যবিধিটা যেন মেনে চলা হয়। জনসমাগমগুলো যেন সীমিত রাখা হয়। এখনও তো আমরা ভালো আছি, তাই প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি।’

বিজয় দিবসসহ জাতীয় নানা অনুষ্ঠান আয়োজনের ক্ষেত্রে পরামর্শ জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওমিক্রন তো সাত দিনের বিষয়, কিন্তু সামনে যে অনুষ্ঠানগুলো আছে সেগুলো অনেক আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নেয়া।

‘আমরা এখানে অনুরোধ করব, যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে করা হয়। ওমিক্রন যদি দেখা না দেয় তাহলে তো সুন্দরভাবে করতে পারবে, কিন্তু যদি ওমিক্রন দেখা যায় তাহলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে।’

এ সময় শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম নিয়েও কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আমরা টিকা দিয়েছি, কিন্তু আমরা যে রকম আশা করেছিলাম সে পর্যায়ে এখনও যেতে পারিনি। আমাদের সাত ৮ লাখ দেয়া হয়েছে।

‘আমরা আশা করছিলাম আরও বেশি দেয়ার। আমরা চেষ্টা করছি যাতে এটাই বাড়ানো যায়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদেরও বলেছি যাতে তারা আমাদের একটু সহযোগিতা করেন।’

এ বিভাগের আরো খবর