রামপুরায় অনাবিল বাস চাপায় শিক্ষার্থী মঈনুদ্দিন নিহতের ঘটনা ও পরে নাশকতার ঘটনায় একাধিক মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ।
এর মধ্যে সড়ক পরিবহন আইনের ধারায় একটি ও নাশকতার একটি মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে নিশ্চিত করেছেন রামপুরা থানার ভরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘সোমবার রাতে বাসচাপায় ছাত্র নিহতের ঘটনাটি সেখানেই থেমে থাকেনি। এই ঘটনার জেরে পরে বেশ কয়েকটি বাসে আগুন দেয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এখানে নাশকতার বিষয়টিও গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
কয়টি মামলা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাসচাপায় ছাত্র মারা যাওয়ায় সড়ক পরিবহন আইনে একটি মামলা হবে। সেটা ওই ছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে হতে পারে। এই মামলায় চালক-হেলপার ও তদন্ত সাপেক্ষে মালিককেও আসামি করা হতে পারে।’
নাশকতার ঘটনায় একটি মামলা পুলিশ বাদী হয়ে করবে বলে জানান তিনি।
এই ঘটনায় বাসচালক সোহেল রানা ও হেলপার চাঁন মিয়াকে আটক করা হয়েছে।
বাসচালক গণপিটুনির শিকার হয়ে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বাসের সহকারী চাঁন মিয়াকে সকালে সায়েদাবাদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩।
তাদের দুইজন সম্পর্কে জানতে চাইলে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘চালককে গতরাতে গুরুতর আহত অবস্থায় আমরা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই। আমার তার সাথে কথা বলার সুযোগ পাইনি, সে অল্প সময়ের মধ্যেই জ্ঞান হারান। তবে ওই সময় তার নাম জানতে চাওয়ায় সে অস্পষ্ট স্বরে জানায় তার নাম সোহেল। এরপর আর কথা বলেনি। প্রাথমিকভাবে তার বয়স জানা গেছে ৩৫ বছর।’
তিনি আরও বলেন, ‘হেলপার চান মিয়াকে র্যাব আটক করেছে বলে আমরা শুনেছি, যাচাই বাছাই করে সত্যতা পাওয়া গেলে তাকে আমরা গ্রেপ্তার দেখাব।’