চট্টগ্রামের ডিটি রোডের গর্তে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে কলেজছাত্রী নিহত হওয়ার পর সেই সড়কের গর্ত ভরাট করছে সিটি করপোরেশন।
ওই সড়কে শুক্রবার বিকেল থেকে গর্ত ভরাট শুরু করেন সিটি করপোরেশনের কর্মীরা। সোমবার বিকেলে সরেজমিনে ওই রাস্তায় গিয়ে দেখা যায়, সড়কে থাকা আগের গর্তগুলো ভাঙা ইট, পাথর ও বিটুমিন ঢালাই দিয়ে ভরাট করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে (২৫ নভেম্বর) এই সড়কের গর্তে ঝাঁকি খেয়ে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে নিহত হন কলেজছাত্রী নাহিদা আফরোজ আনিকা।
এলাকাবাসীর দাবি, অনেক দিন থেকেই এই সড়কের গর্তের জন্য যান চলাচলে অসুবিধা হচ্ছিল। তবে সিটি করপোরেশন বলছে, ওয়াসার পাইপের লিকেজ থেকে বের হওয়া পানিতেই সড়কের এই গর্তের সৃষ্টি।
দেওয়ানহাট এলাকার ব্যবসায়ী আকবর হোসেন বলেন, ‘আমিও বাইক নিয়ে এই সড়কে চলাচল করি। এই সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় প্রাণ হাতে নিয়ে চলি রীতিমতো। এখানে অধিকাংশ সময়ই এ রকম গর্ত থাকে। সিটি করপোরেশন মাঝে মাঝে ভাঙা ইট দেয়, কিন্তু সেসব তো বেশি দিন থাকে না।’
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভারী যানের কারণে সড়কে গর্ত হয়। আমরা কিছুদিন আগেও সড়কটি সংস্কার করেছি। কিন্তু ওয়াসার পাইপের লিকেজ থেকে বের হওয়া পানিতে সড়ক বারবার নষ্ট হয়। তাছাড়া ওয়াসার পানির পাইপের কাজ করতে গিয়েও গর্তের সৃষ্টি হয়।’
সিটি করপোরেশনের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী (মড-১) আব্দুর রউফ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পাইপের লিকেজ এটা রানিং, পৃথিবীর সব দেশে এটা হয়। এটা আমরা চাইলেই শূন্যে আনতে পারব না। তবে আমরা কমানোর চেষ্টা করতেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘পুরোনো পাইপগুলো চেঞ্জ করে নতুন পাইপ বসাচ্ছি। আর পাইপের কাজ করানোর ফলে ওরা যে গর্ত হয়েছে দাবি করছে, আমরা তো সিটি করপোরেশনের অনুমতি নিয়েই সড়কে পাইপের কাজ করি। আর কাজ করার পর টেম্পোরারি ঢালাই দিয়ে দিই।
‘এটা স্থায়ী সংস্কারের দায়িত্ব করপোরেশনের। কারণ যারাই সড়কে কাজ করুক, সড়ক কাটার জন্য অনুমতির প্রয়োজন হয়। আর টাকাও দিতে হয় ওদের।’