রাজধানীর রামপুরায় বাসের ধাক্কায় শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত চালককে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় চাপা দেয়া বাসটিকেও জব্দ করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাবার সময় বাসটিকে মালিবাগ রেলগেইট এলাকা থেকে আটক করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিক্ষার্থীকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যাবার সময় অনাবিল পরিবহনের বাসটিকে ধাওয়া করে বিক্ষুব্ধ মানুষ। তারা বাসটিকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। মালিবাগ রেল গেইট এলাকায় যানবাহনের চাপে বাসটির গতি কমাতে বাধ্য হন চালক। তখন পিছু নেয়া মানুষেরা চালকসহ বাসটিকে আটক করেন।
এ সময় বিক্ষুব্ধরা বাসের চালককে মারধরও করে। এতে জ্ঞান হারান তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে মালিবাগ রেলগেইটে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা গিয়ে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাকে উদ্ধার এবং বাসটি জব্দ করেন।
পরে চালককে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নিয়ে যান রামপুরা থানার উপপরিদর্শক আমিন মীর। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাসের চালককে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তিনি এখনও অজ্ঞান।’
চালকের নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তার নাম পরিচয় কিছুই জানা যায়নি।’
এর আগে সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রামপুরা বাজারে সোনালী ব্যাংকের সামনের রাস্তায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয় মানুষের মাঝে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তারা বিভিন্ন বাসে আগুন দিতে শুরু করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রামপুরা বাজারে সোনালী ব্যাংকের সামনের রাস্তায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা অনাবিল পরিবহনের বাসসহ অন্তত ১২টি বাসে আগুন ও ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে রয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ। মধ্যরাত পর্যন্ত রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ ছিল।
রাসেল নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, দুর্ঘটনার পর আশপাশের মানুষ অনাবিল পরিবহনের কয়েকটি বাস আটকে দেয়। শুরু হয় ভাঙচুর। একের পর এক বাসে আগুন দেয় তারা।’
রাসেল জানান, ফায়ার সার্ভিস যখন আগুন নেভাচ্ছিল, তখনও অন্যান্য বাসে আগুন দিচ্ছিলেন উত্তেজিতরা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত করে।
সরেজমিনে ঘটনাস্থলে অসংখ্য মানুষ জড়ো হতে দেখা গেছে। নিহতের নাম মাইনুদ্দিন বলে নিশ্চিত করেছেন একাধিক জন। তিনি রাজধানীর একরামুন্নেসা স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন সাদ্দাম। তিনি হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে আছে পুলিশের একাধিক টিম।
ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার এরশাদ হোসেন বলেছেন, ‘আগুন নেভাতে কাজ করেছে আমাদের একাধিক ইউনিট।’