বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনায় ক্ষুধা নির্মূল চ্যালেঞ্জে: এডিবি  

  •    
  • ৩০ নভেম্বর, ২০২১ ০১:২০

করোনার কারণে ২০২০ সালের শুরুর দিকে খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা চরম ব্যাহত হয়। জাহাজের ভাড়া বৃদ্ধি ও বৈরি আবহাওয়ায় এই সংকট দেখা দেয়।এর প্রভাবে বেড়েছে খাদ্যের দাম। অন্যদিকে কর্মক্ষেত্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কমেছে মানুষের আয়।      

এশিয়ার দেশগুলোর ক্ষুধা নির্মূলের লক্ষ্যকে মহামারি করোনা শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে বলে জানিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। ম্যানিলাভিত্তিক উন্নয়ন সংস্থাটি বলছে, ২০২০ সালে এশিয়াজুড়ে অপুষ্টির শিকার মানুষের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি।

‘কোভিড-১৯ মহামারির কারণে উন্নয়নশীল এশিয়ায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি এবং খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা পরিস্থিত’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন সোমবার প্রকাশ করে এডিবি।

এতে বলা হয়েছে, এশিয়ার বেশিরভাগ দেশের মানুষের আয়ের বড় একটি অংশ বরাদ্দ থাকে খাদ্যের যোগানের পেছনে। খাদ্যের মূল্য আকস্মিক বেড়ে গেলে বিপুল জনগোষ্ঠীর ওপর বড় প্রভাব পড়ে।

করোনার কারণে ২০২০ সালের শুরুর দিকে খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা চরম ব্যাহত হয়। জাহাজের ভাড়া বৃদ্ধি ও বৈরি আবহাওয়ায় এই সংকট দেখা দেয়। আর এতেই বেড়েছে খাদ্যের দাম। অন্যদিকে কর্মক্ষেত্র বন্ধ হয়ে যাওয়া কমেছে মানুষের আয়।

এডিবি বলছে, এই পরিস্থিতে ক্ষুধা নির্মূলের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, তা পূরণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। জাতিসংঘের হিসাবে, করোনার ছোবলে এশিয়ায় অপুষ্টির শিকার জনসংখ্যা ২০১৯ সালের ৩৬ কোটি ১৩ লাখ থেকে বেড়ে ২০২০ সালে ৪১ কোটি ৮০ লাখে এসে ঠেকেছে।

বাড়ছে জীবনযাত্রার ব্যয়

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কোভিড-১৯ এর কারণে লকডাউন, মুদ্রার অবমূল্যায়ন ও খাদ্য রপ্তানিকারক কিছু দেশে আরোপিত বিধিনিষেধ খাদ্য সরবরাহ শৃঙ্খলে বাধা সৃষ্টি করছে। পাশাপাশি জাহাজ ভাড়া বৃদ্ধিও খাদ্যের মূল্যকে ঊর্ধ্বমুখী করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে উৎপাদন কম যাওয়াকেও অন্যতম কারণ মনে করছে এডিবি।

২০১৯-২০২০ এর মধ্যে এশিয়ার ৪১ দেশের মধ্যে খাদ্যমূল্য বেড়েছে ২৯ দেশে। যার মধ্যে ১৭ দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশ বা তার চেয়ে বেশি বেড়েছে। এই অবস্থা সবচেয়ে বেশি লক্ষ করা গেছে নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশগুলোতে।

পাকিস্তানের বেড়েছে ১১ দশমিক ৩ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ১০ দশমিক ৬, কিরগিজস্তানে ১০ দশমিক ৩ শতাংশ ও ভুটানে বেড়েছে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ।

তবে এডিবির প্রতিবেদন বলছে, করোনার এই এক বছরে খাদ্যের দাম বৃদ্ধি প্রশ্নে অনেটায় স্বস্তিতে ছিল বাংলাদেশ। এই সময়ে বাংলাদেশে খাদ্যের দাম খুব একটা বাড়েনি। ২০১৯ সালের বাংলাদেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০২০ সালেও তা একই ছিল।

ভারতে ২০১৯ সালে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৬ দশমিক ৬ শতাংশ, ২০২০-এ তা বেড়ে হয়েছে ৮ শতাংশ।

বেকারত্ব বেড়েছে, কমেছে কর্মঘণ্টা

করোনার কারণে এই এক বছরে এশিয়ায় এডিবির ২৩ সদস্য দেশের মধ্যে ২১টিতেই বেকারত্ব বেড়েছে। কর্মঘণ্টা কমেছে ৪ শতাংশের কাছাকাছি। ১৬ দেশের বেকারত্বের হার প্রায় ১০ শতাংশের কাছাকাছি।

প্রতিবেদনে ফিলিপাইন, হংকং, চীন, আজারবাইজান, ভুটান ও ইন্দোনেশিয়ায় বেকারত্ব বৃদ্ধির হার উল্লেখ করা হলেও, বাংলাদেশ সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।

এ বিভাগের আরো খবর