বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নৌকার পরাজিত প্রার্থীর বাড়িতে হামলা, ককটেল নিক্ষেপ

  •    
  • ২৯ নভেম্বর, ২০২১ ২৩:৫৬

নৌকার পরাজিত প্রার্থী আবুল হাসেম বলেন, ‘আমার লোকজনকে গ্রাম ছাড়া করেছেন পারভেজরা। সোমবার সন্ধ্যার কিছু আগে পারভেজ তার লোকজন নিয়ে আমাদের বাড়িঘরে হামলা করে। কয়েক শত ককটেল ফাটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করে। তারা বাড়িঘরে লুটপাট করে সবকিছু নিয়ে যায়। সাত-আট জনকে পিটিয়ে আহত করেছে।’

মুন্সিগঞ্জ সদরের শিলই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার পরাজিত প্রার্থী আবুল হাসেমের বাড়ি-ঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও ককটেল নিক্ষেপ করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান পারভেজ মৃধা দলবল নিয়ে এই হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার পক্ষের আট-দশ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার বিকালে ৫টার দিকে ওই ইউনিয়নের পূর্বরাখি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববারের ভোটে স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মৃধা। জয়ী হওয়ার পর থেকে তিনি নৌকার সমর্থকদের হুমকি-ধমকি দেয়া শুরু করেন। অনেকে ভয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যান।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার বিকেল ৫টার দিকে পারভেজ মৃধার নেতৃত্বে একটি মিছিল নৌকার পরাজিত প্রার্থী ও সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যানে আবুল হাসেমের বাড়ির দিকে যায়। এ সময় তারা আবুল হাসেম এবং তার ছোট ভাই সাবেক ইউপি সদস্য ইসমাঈল বেপারির বাড়িতে হামলা চালান। হামলাকারীরা বাড়িতে ঢুকে ককটেল বিস্ফোরণ ও ব্যাপক ভাঙচুর চালান।

প্রত্যক্ষদর্শী কাউসার দেওয়ান বলেন, ‘হাসেমের ভাতিজিকে মারধর করলে আমি ছাড়িয়ে দেই। এর মধ্যে পারভেজ মৃধার নেতৃত্বের তার চাচাতো ভাই সুমন মৃধাসহ ২০-২৫ জন ককটেল বিস্ফোরণ এবং বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।’

ইসমাঈল ব্যাপারির স্ত্রী লাবনী বেগম বলেন, ‘আমার ঘর ভাঙচুর করে তারা সাত ভরি স্বর্ণালঙ্কার এবং ছয় লাখ টাকা লুট করেছে। ঘরে থাকা সব ফার্নিচার ভেঙে তছনছ করেছে। আমরা ভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছি।’

আবুল হাসেম বলেন, ‘আমার লোকজনকে গ্রাম ছাড়া করেছেন পারভেজরা। সোমবার সন্ধ্যার কিছু আগে পারভেজ তার লোকজন নিয়ে আমাদের বাড়িঘরে হামলা করে। কয়েক শত ককটেল ফাটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করে। তারা বাড়িঘরে লুটপাট করে সবকিছু নিয়ে যায়। সাত-আট জনকে পিটিয়ে আহত করেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যান ছিলাম। কারো ওপর কখনও জুলুম করিনি। এখন নিজের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত আছি।’

অভিযোগের বিষয়ে পারভেজ মৃধা বলেন, ‘আমরা কারো ওপর হামলা করিনি। চেয়ারম্যান পরাজিত হয়ে আমাদের লোকজনের ওপর হামলা করেছেন।’

মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গেছে। আবুল হাসেম ও তার ভাইয়ের বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় এরই মধ্যে পারভেজের পক্ষের ৮-১০ জনকে আটক করা হয়েছে। এখনও মামলা হয়নি। জড়িত সবার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর