বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মারধরে চালক নিহতের মামলায় গ্রেপ্তার ৩

  •    
  • ২৯ নভেম্বর, ২০২১ ১৫:২৬

ওসি কামরুজ্জামান বলেন, ‘অজ্ঞাত মাইক্রোবাসটি শনাক্তের জন্য হাটহাজারী চৌধুরী হাট থেকে মুরাদপুর পর্যন্ত আমরা প্রায় ৭০টি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। ঘটনার সময় রাতে হওয়ায় গাড়ির নম্বরপ্লেট শনাক্ত করা কঠিন ছিল। তবু একপর্যায়ে ওই গাড়ি শনাক্ত করে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছি।’

চট্টগ্রামে মারধরে বাসচালক নিহতের মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ক্লোজড সার্কিট (সিসিটিভি) ক্যামেরার ফুটেজ দেখে নগরীর বায়েজিদ থানার আমিন কলোনি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

ওই তিনজন হলেন আনোয়ার হোসেন, মো. মোর্শেদ ও মো. রবিউল।

বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান সোমবার দুপুরে নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান জানিয়েছিলেন, বায়েজিদ থানার আমিন জুট মিল এলাকায় ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় নোহা গাড়িকে সাইড না দেয়াকে কেন্দ্র করে প্রচণ্ড মারধরের শিকার হন ৩ নম্বর সিটি সার্ভিসের চালক আব্দুর রহিম।

পরে ওই দিন রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ২৭ নভেম্বর সকালে হাটহাজারীতে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক অবরোধ করেন পরিবহনশ্রমিকরা।

সাড়ে তিন ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নিলেও চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়। পরে নগর পুলিশের দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাসে গাড়ি চলাচল শুরু করে।

ওই দিন রাতে বায়েজিদ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন আব্দুর রহিমের স্ত্রী জোছনা বেগম।

ওসি কামরুজ্জামান বলেন, ‘অজ্ঞাত মাইক্রোবাসটি শনাক্তের জন্য হাটহাজারী চৌধুরী হাট থেকে মুরাদপুর পর্যন্ত আমরা প্রায় ৭০টি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। ঘটনার সময় রাতে হওয়ায় গাড়ির নম্বরপ্লেট শনাক্ত করা কঠিন ছিল। তবু একপর্যায়ে ওই গাড়ি শনাক্ত করে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছি।’

কী হয়েছিল সেদিন?

ওসি জানান, হাটহাজারী থেকে আসার সময় চৌধুরী হাটের আগে ওভারটেক করা নিয়ে মাইক্রোবাসের যাত্রীদের সঙ্গে আব্দুর রহিমের ঝামেলা হয়। মিনিবাসে যাত্রী ওঠানামার কারণে মাইক্রোবাসের পথরোধ হয়েছিল।

এরপর চৌধুরী হাট এলাকায় পেট্রলপাম্পের সামনে মাইক্রোবাসের যাত্রীরা দ্রুতযান পরিবহনের আরেকটি বাসের চালক আনোয়ার হোসেনকে মারধর করেন। মারধরে ওই চালক অজ্ঞান হয়ে যান। ভুল চালককে মারধরের বিষয়টি বুঝতে পেরে তারা দ্রুত অক্সিজেনের দিকে চলে যান।

বালুছড়া এলাকায় আব্দুর রহিমের বাসটি চিনতে পেরে পিছু করা শুরু করেন। আমিন জুট মিলের সামনে তারা বাসের গতিরোধ করে চালককে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে মারধর করেন। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুর রহিমের মৃত্যু হয়।

এ বিভাগের আরো খবর