বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পতন থামলেও হারিয়েছে শেয়ার কেনার আগ্রহ

  •    
  • ২৯ নভেম্বর, ২০২১ ১৪:৫২

১৪৬ কর্মদিবসের সর্বনিম্ন লেনদেন হলো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে। হাতবদল হয় ৭০৮ কোটি ১৮ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। এর চেয়ে কম লেনদেন হয় গত ১৯ এপ্রিল। সেদিন হাতবদল হয় ৬৯৭ কোটি ২৯ লাখ ৬৮ হাজার টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বসার দুই দিন আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিএসইসির বৈঠকের পর দিন পুঁজিবাজারে পতন থেমেছে। তবে লেনদেনের পৌনে দুই ঘণ্টায় সূচক যতটা বেড়ে লেনদেন হচ্ছিল, দিন শেষে সেখান থেকে অনেকটাই কমেছে।

বাজার নিয়ে আস্থাহীনতার কারণে নতুন বিনিয়োগে যেতে চাইছেন না বিনিয়োগকারীরা। বরং হাতে থাকা শেয়ারের দর আরও কমে যাবে, এই আশঙ্কায় কম দামে হলেও ছেড়ে দিতে চাইছে বহুজন। এই অবস্থায় লেনদেন একেবারে তলানিতে নেমেছে।

মাস তিনেক আগে এক ঘণ্টায় যতটুকু লেনদেন হতো, সারা দিনে সাড়ে চার ঘণ্টাতেও অতটা লেনদেন দেখা যায়নি।

দিন শেষে লেনদেন কোনো রকমে সাতশ কোটির ঘর অতিক্রম করে। হাতবদল হয় ৭০৮ কোটি ১৮ লাখ ৯৬ হাজার টাকা।

১৪৬ কর্মদিবসের মধ্যে সবচেয়ে কম লেনদেন দেখল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। এর চেয়ে কম লেনদেন হয় গত ১৯ এপ্রিল। সেদিন হাতবদল হয় ৬৯৭ কোটি ২৯ লাখ ৬৮ হাজার টাকা।

সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস সোমবার আড়াইশর বেশি কোম্পানির শেয়ারদর বাড়লেও সূচকে অতটা প্রভাব পড়েনি মূলত বেক্সিমকো গ্রুপের কারণে। গ্রুপের দুই প্রধান কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেড ও বেক্সিমকো ফার্মার টানা দরপতনে সূচক থেকে কমে গেছে ১০ পয়েন্ট। এই দুটি কোম্পানি ছাড়া দর হারানো অন্য কোম্পানিগুলো সূচক সেভাবে কমাতে পারেনি।

বিপরীতে ব্যাংক ও আর্থিক খাত, প্রকৌশল, খাদ্য বিমা, ওষুধ ও রসায়ন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির দর বৃদ্ধির কারণে টানা ছয় কর্মদিবস পর অবশেষে থামল পুঁজিবাজারের দরপতন।

ছয় কর্মদিবস পর সূচক বাড়লেও লেনদেনের এই চিত্র বিনিয়োগকারীদেরকে স্বস্তি দেবে না

গত সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস ২১ নভেম্বর থেকে শুরু হয় সূচকের টানা পতন। এ নিয়ে ছয় দিনেই সূচক পড়ল ৩১৮ পয়েন্ট।

এর আগে গত ১৬ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা ছয় দিন পতন হয় ৬ কর্মদিবস।

গত দুই বছরে এর চেয়ে বেশি পতন চলতি বছরের ১০ থেকে ১৯ অক্টোবর দেখা দিয়েছিল। সে সময় টানা সাত কর্মদিবস সূচক পড়ে ৩৪৭ পয়েন্ট।

গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া দর সংশোধনের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেশ কিছু পদক্ষেপ বাজারে অর্থপ্রবাহ কমিয়ে দিয়েছে। ব্যাংকগুলোতে তাদের বিনিয়োগের তথ্য প্রতিদিন জানানোর নির্দেশ দেয়া ছাড়াও শেয়ার মূল্য বেড়ে যাওয়ার পর বিনিয়োগসীমা এক দিনের জন্য অতিক্রম করে যাওয়ার পর বেশ কিছু ব্যাংককে জরিমানা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ব্যাংক বন্ডে যে বিনিয়োগ করবে, তা তার বিনিয়োগসীমার মধ্যে হবে।

এর মধ্যে মিউচ্যুয়াল ফান্ড পরিচালনা করা সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানির লেনদেনের তথ্যও প্রতিদিন জানানোর আদেশ এসেছে, যে আদেশ আসার পর বিএসইসি কেন্দ্রীয় ব্যাংককে চিঠি দিয়ে বলেছে, এটা তারা পারে না।

ওয়ান ব্যাংকের লভ্যাংশ ইস্যুতে দুই পক্ষের মধ্যে মতভিন্নতা ছিল আগে থেকেই। সেই সঙ্গে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা ক্রয়মূল্য নাকি বাজারমূল্যে হবে- এ নিয়ে মতপার্থক্য প্রায় এক দশক ধরেই। বাজারমূল্য বিনিয়োগসীমা নির্ধারণ করায় পুঁজিবাজারে অযাচিত ক্রয়চাপ তৈরি হয় আর গত মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে দুই পক্ষের বৈঠক শেষে বিএসইসি জানায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রয়মূল্যে বিনিয়োগসীমা নির্ধারণে রাজি হয়েছে। কিন্তু আট মাসেও সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা পদক্ষেপে পুঁজিবাজারে অর্থপ্রবাহ কমে আসার পর গত বৃহস্পতিবার দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থার মধ্যে বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়। আগমী মঙ্গলবার এই বৈঠক হবে, এমন খবর আসার পরও রোববার বড় দরপতনে দেখা দেয় আতঙ্ক।

সেই সন্ধ্যাতেই বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম দেখা করেন অর্থ সচিবের কাছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা পদক্ষেপের বিষয়ে তাদের অবস্থান তুলে ধরেন। বন্ডে বিনিয়োগ যেন পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমার বাইরে থাকে, সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আলাদাভাবে বসতে মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেন তিনি।

এই বৈঠকের খবর গণমাধ্যমে আসার পর সোমবার সূচক বেড়েই শুরু হয় লেনদেন। বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে আগের দিনের তুলনায় ৭১ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন হচ্ছিল। তখন মনে হচ্ছিল, আগের ছয় দিনের চাপ থেকে বুঝি মুক্তি মিলবে। কিন্তু শেয়ারদর বেড়ে যাওয়ার পর বিক্রয় চাপ দেখা দেয়। এক পর্যায়ে বেলা ২টা ৭ মিনিটে সূচক দিনের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে ৬৫ পয়েন্ট কমে লেনদেন হতে থাকে।

সে সময় সূচক আগের দিনের চেয়ে বেশি ছিল কেবল ৫ পয়েন্ট। আশঙ্কা করা হচ্ছিল, পতনে টানা সাত দিনের পতনের বেদনাদায়ক স্মৃতি বুঝি আবার ফিরে আসে। তবে দিন শেষে সেখান থেকে কিছুটা বেড়ে লেনদেন শেষ হয় ৬ হাজার ৭৯৫ পয়েন্টে, যা আগের দিনের চেয়ে ২১ পয়েন্ট বেশি।

সূচকে সবচেয়ে বেশি প্রভাব যেসব কোম্পানির

সূচক বাড়ানোয় প্রধান ভূমিকায় ছিল রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অফ বাংলাদেশ বা আইসিবি। শেয়ারদর ৩.৩৬ শতাংশ বাড়ার কারণে সূচকে যোগ হয়েছে ৪.৭ পয়েন্ট।

ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারদর ২.২৩ শতাংশ বাড়ার কারণে সূচকে যোগ হয়েছে ২.১৩ পয়েন্ট, আইএফআইসি ব্যাংকের দর ২.২৩ শতাংশ বাড়ার কারণে সূচকে যোগ হয়েছে ১.০৯ পয়েন্ট।

এই ১০টি কোম্পানির দর বাড়ার কারণে সূচকে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট যোগ হয়েছে

এছাড়া লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট, ইউনাইটেড পাওয়ার, পাওয়ারগ্রিড, ইসলামী ব্যাংক, জেনেক্স ইনফোসিস, আইপিডিসি ও পূবালী ব্যাংকের শেয়ারদর বাড়ায় সূচকে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট যোগ হয়েছে।

এই ১০টি কোম্পানির কারণে সূচক বেড়েছে ১১.৪০ পয়েন্ট।

বিপরীতে কেবল বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ারদর ২.৭৬ শতাংশ কমার কারণে সূচক পড়েছে ৫.০৪ পয়েন্ট। একই গ্রুপের আরেক কোম্পানি বেক্মিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের দর ২.৫৮ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ৩.০২ পয়েন্ট।

রেনাটা, গ্রামীণ ফোন, বিকন ফার্মা, মবিল যমুনা, মেঘটা পেট্রলিয়াম, সোনালী পেপার ও ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানি শেয়ারের দর কমার কারণেও সূচক থেকে কমেছে কিছু পয়েন্ট।

সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানির কারণে সূচক কমেছে ১১.৮৯ পয়েন্ট।

সূচক সবচেয়ে বেশি কমিয়েছে বেক্সিমকো গ্রুপের দুই কোম্পানি

দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০

নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি একমি পেস্ট্রিসাইডস ও সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স আবারও দর বৃদ্ধির শীর্ষ দুই কোম্পানি হিসেবে উঠে এসেছে।

গত ১৪ নভেম্বর তালিকাভুক্ত হওয়ার পর টানা ১২ কর্মদিবস শেয়ারদর যত বাড়া সম্ভব, বাড়ল ততটাই। গত দুই কর্মদিবস ধরে লেনদেনের গতি বেশ ভালো।

আগের দিন প্রথমবারের মতো উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ার লেনদেন হয়। সেদিন হাতবদল হয় ২ লাখ ২৪ হাজার ৭১৬ টি শেয়ার। এবার আরও বেড়ে লেনদেন হয়েছে ৯ লাখ ২৬ হাজার ৩০৩টি।

দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সেনাকল্যাণের শেয়ারদর সর্বোচ্চ পরিমাণ বাড়ল টাকা ১৭ কর্মদিবস। কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয় গত ৭ নভেম্বর। ১০ টাকায় তালিকাভুক্ত হয়ে দাম উঠেছে ৪৯ টাকা ৩০ পয়সা। তবে এখনও বলার মতো শেয়ার লেনদেন হয়নি। আজই সর্বোচ্চ সংখ্যক ৪২ হাজার ৯০৭টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।

তৃতীয় অবস্থানে থাকা একটিভ ফাইন কেমিক্যালসের দর বেড়েছে ৯.৬৭ শতাংশ। পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করার পর ফ্যামিলি টেক্স উঠে এসেছে সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির চতুর্থ স্থানে। আগের দিন শেয়ারদর ছিল ৪ টাকা ৪০ পয়সা। বাড়ার সুযোগ ছিল ৪০ পয়সা। বেড়েছেও তা। শতকরা হিসেবে বেড়েছে ৯.০৯ শতাংশ।

বস্ত্র খাতেরই আরেক কোম্পানি জেনারেশন নেক্সটের দর ৮.৯২ শতাংশ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের এএফসি অ্যাগ্রোর দর ৮.৭৫ শতাংশ, দেশবন্ধু পলিমানের দর ৮.৭১ শতাংশ, শ্যামপুর সুগারের দর ৮.১০ শতাংশ আর সালভো ক্যামিকেলের দর বেড়েছে ৭.৭১ শতাংশ।

সব মিলিয়ে ৯ শতাংশের বেশি শেয়ারদর বেড়েছে ৪টি কোম্পানির, ৮ শতাংশের বেশি বেড়েছে আরও ৪টির দর।

এ ছাড়া ২টি কোম্পানির দর ৭ শতাংশের বেশি, ৩টি কোম্পানির ৫ শতাংশের বেশি, ৫টি কোম্পানির ৪ শতাংশের বেশি, ১৩টি কোম্পানির দর ৩ শতাংশের বেশি, ৫৬টি কোম্পানির দর বেড়েছে ২ শতাংশের বেশি।

দরপতনের শীর্ষ ১০

এই তালিকায় শীর্ষে ছিল এমারেল্ড অয়েল যার দর কমেছে ৩.৯২ শতাংশ। চার বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ কোম্পানিটি সম্প্রতি উৎপাদনের প্রস্তুতি শুরু করেছে। এই উৎপাদন শুরুর ঘোষণা ছিল গত ১ সেপ্টেম্বর থেকেই। তবে নানা জটিলতায় তা করা যায়নি।

এ কারণে শেয়ারদর ৪৪ টাকা থেকে কমে ৩১ টাকায় নেমে এসেছিল। সম্প্রতি গণমাধ্যমের খবরে এসেছে যে, আগের মালিকের শেয়ার হস্তান্তরসহ নানা জটিলতার অবসান হয়েছে। এই খবরে শেয়ারদর ৩১ টাকা থেকে বেড়ে আবার ৩৬ টাকা হয়ে যায়। তবে আজ কিছুটা কমে দাম দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৩০ পয়সা।

লোকসানে থেকেও শেয়ার প্রতি ১০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করা বিচ হ্যাচারির দর কমেছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩.৭৪ শতাংশ।

এছাড়া সুঋদ ইন্ডাস্ট্রিজের দর ৩.৬৩ শতাংশ, আমামিট সিমেন্টের দর ৩.৬০ শতাংশ, দেশ গার্মেন্টসের দর ২.৯৯ শতাংশ, কুইন সাউথ টেক্সটাইলের দর ২.৯৭ শতাংশ, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের দর ২.৭৬ শতাংশ, বেক্সিমকো লিমিটেডের দর ২.৭৫ শতাংশ, বেক্সিমকো ফার্মার দর ২.৫৭ শতাংশ ও ইনডেক্স অ্যাগ্রোর দর কমে ২.০৪ শতাংশ।

লেনদেনের শীর্ষ ১০

টানা চার কর্মদিবস দরপতন হওয়া বেক্সিমকো লিমিটেড লেনদেনের শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে। তবে কিছুদিন আগে নিয়মিত দুই থেকে তিনশ কোটি টাকার বেশি টাকার শেয়ার হাতবদল হলেও তা নেমে এসেছে একশ কোটি টাকার নিচে। হাতবদল হয়েছে ৮৩ কোটি ৩৮ লাখ ৯৮ হাজার টাকা।

লেনদেনের দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল জেনেক্স ইনফোসিস, যার ৫৮ কোটি ৯৫ লাখ ২৫ হাজার টাকার শেয়ার হাতবদল হয়।

বেক্সিমকো ফার্মা, ব্র্যাক ব্যাংক, ডেল্টা লাইফ, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, আইএফআইসি ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক, ফরচুন সুজ ও এএফসি অ্যাগ্রো ছিল সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ১০টি কোম্পানি।

এই ১০টি কোম্পানিতেই হাতবদল হয়েছে৩২৫ কোটি ৯২ লাখ ৮৬ হাজার টাকা, যা মোট লেনদেনের ৪৬.০২ শতাংশ।

সব মিলিয়ে শীর্ষ ২০ কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে ৪০৭ কোটি ৫৯ লাখ ৬৭ হাজার টাকা, যা মোট লেনদেনের ৫৭.৫৫ শতাংশ।

এ বিভাগের আরো খবর