বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘সহিংসতাহীন’ ভোটে নিহত বেড়ে ৭

  •    
  • ২৯ নভেম্বর, ২০২১ ০৯:৫৫

তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট চলাকালে সংঘর্ষ হয় অন্তত ১০ জেলায়। তবে বিকেল পর্যন্ত কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। ভোট শেষ হওয়ার পর পাঁচ জেলা থেকে সাতজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়।

তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সহিংসতাহীন হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) দাবি করলেও শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত এই ভোটে আরও দুজনসহ প্রাণহানি হয়েছে সাতজনের। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।

তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট চলাকালে সংঘর্ষ হয় অন্তত ১০ জেলায়। তবে বিকেল পর্যন্ত কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।

ভোট শেষে রাজধানীতে নিজ কার্যালয়ে ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, সহিংসতাহীন নির্বাচন হয়েছে।

এই নির্বাচন মডেল হতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এর পরপরই লক্ষ্মীপুর থেকে আসে প্রাণহানির প্রথম খবর। এরপর নরসিংদী ও মুন্সীগঞ্জে ভোটের পরে সংঘর্ষে তিনজন নিহতের খবর পাওয়া যায়।

রাত সাড়ে ৯টায় নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় সহিংসতায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) এক সদস্য নিহত হন।

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলায় রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিজিবির ছোড়া গুলিতে দুজন নিহতের খবর নিশ্চিত করেন পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেজাউল করিম।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে ইউএনও জানান, ভোট শেষ হওয়ার পর ফল ঘোষণা করতে বেশ দেরি করছিলেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সঙ্গে চশমা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নুরুজ্জামানের সমর্থকদের বাগবিতণ্ডা হয়।

পরে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নৌকার প্রার্থী শহীদ হোসেনকে জয়ী ঘোষণা করলে তাকে ভোটকেন্দ্রে অবরুদ্ধ করা হয়। তিনি বের হয়ে যেতে পারলেও একটি কক্ষে তিন পুলিশ সদস্যসহ ১৫ থেকে ১৬ জন আনসার সদস্য আটকা পড়েন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে যান বিজিবি সদস্যরা। ওই সময় হামলার চেষ্টা হলে আত্মরক্ষার্থে বিজিবি সদস্যরা গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলে শাহপলি আহমেদ নামে একজন নিহত হন। আহত চারজনকে পাঠানো হয় হাসপাতালে।

পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আব্দুল জাব্বার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাত ১২টার দিকে গুলিবিদ্ধ চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়। আমরা তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে পাঠাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের চিকিৎসক রাকিবুল ইসলাম চয়ন বলেন, ‘রাত ৩টার দিকে চারজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। আধ ঘণ্টা পর তাদের মধ্যে মজাহারুল ইসলাম নামের একজনের মৃত্যু হয়।’

কুমিল্লার বরুড়ায় একটি ‘কেন্দ্র দখল করতে’ হামলায় আহত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ফল ঘোষণার পর গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম দলিরাম মাঝাপাড়া ভোট কেন্দ্রে সহিংসতার ঘটনা ঘটে।

নিহত বিজিবি সদস্য হলেন নায়েক রুবেল হোসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ললিত চন্দ্র রায়।

তিনি জানান, ফল ঘোষণার পর লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মারুফ হোসেন অন্তিক লোকজন নিয়ে এসে ওই কেন্দ্রে তাকে জয়ী ঘোষণার দাবি জানিয়ে নির্বাচনি সরঞ্জাম নিতে বাধা দেয়।

তাদের হামলায় নায়েক রুবেল নিহত হন। আহত হন তিনি (প্রিসাইডিং অফিসার) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশ, বিজিবি ও আনসারের অন্তত ২৫ থেকে ৩০ জন।

মুন্সীগঞ্জ সদর ও টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় ভোটের পর গণনা চলাকালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে সদরের বাংলাবাজার ইউনিয়নে সংঘর্ষে নিহত হন একজন।

ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বানিয়াল উত্তর ভূকৈলাশ সরকারি কাজিয়ারচর বিদ্যালয় কেন্দ্রে এই সংঘর্ষ হয় বলে জানান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব।

তিনি জানান, বাংলাবাজার কেন্দ্রের ফল ঘোষণায় দেরি হওয়ায় সংরক্ষিত নারী আসদের দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম শাকিল মোল্লা। তার স্বজনরা জানান, বাড়ি শরীয়তপুর হলেও বাংলাবাজারে নানার বাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন শাকিল। সেখানে ভোটের সময় নারী সদস্য প্রার্থী রাবেয়া বেগমের সমর্থক হিসেবে কাজ করছিলেন।

স্বজনদের অভিযোগ, ভোট শেষে উত্তর ভূকৈলাশ সরকারি কাজিয়ারচর বিদ্যালয়ে রাবেয়ার সমর্থকদের সঙ্গে আরেক প্রার্থী আরফা বেগমের লোকজনের সংঘর্ষ হয়। সে সময় শাকিলকে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষ। তাকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের নেয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালের চিকিৎসক শৈবাল বসাক জানান, শাকিলকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার দেহে একাধিক জখম ছিল।

শৈবাল আরও জানান, টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বেতকা ও দিঘিরপাড় ইউনিয়ন থেকে আহত অবস্থায় পাঁচজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের সঙ্গে থাকা লোকজন জানিয়েছেন, ভোটের পর সহিংসতায় তারা আহত হয়েছেন।

নরসিংদীর রায়পুরার ভোটের পর সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন দুইজন।

উপজেলার চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে ফল ঘোষণার জেরে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। তবে এ ব্যাপারে পুলিশের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

নিহত মো. আরিফের বাড়ি শিবপুর যোশর জাঙ্গারটেক গ্রামে। তিনি ছিলেন অটোরিকশার চালক।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, দাইরের পার সরকারি বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গণনার পর ৮ নম্বর ওয়ার্ডে মেম্বার পদে আব্দুল ওহাবকে পরাজিত ঘোষণা করা হয়। এই ফল মেনে নেননি ওহাবের সমর্থকরা। ওহাব উত্তেজিত হয়ে কেন্দ্র থেকে বের হয়ে যান।

কিছুক্ষণ পর অর্ধশতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ ১৬ রাউন্ড গুলি ছোড়ে।

ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও এলোপাতাড়ি গুলিতে পুলিশের ভাড়া করা সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক মো. আরিফ নিহত হন। গ্রামবাসীসহ আহত হন অন্তত ১০ জন।

রায়পুরায় উত্তর বাহার নগর এলাকার একটি কেন্দ্রে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে রাজধানীর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

নিহতের নাম ফরিদ মিয়া বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত পরিদর্শক আব্দুল খান।

তিনি জানান, ওই ব্যক্তির সঙ্গে আসা লোকজন জানিয়েছেন যে নির্বাচনি সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হন ফরিদ।

নিহতের শ্যালক শাহ আলম বলেন, ‘আমার দুলাভাই ফরিদ মিয়া একজন রিকশাচালক। রায়পুরা উত্তর বাখর নগর এলাকায় দুই মেম্বারের মধ্যে প্রাইমারি স্কুলের বাইরে গোলাগুলি শুরু হয়। ওই গোলাগুলির মধ্যে সে পড়ে যায়। এতে তার মাথায় গুলি লাগে।’

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের ইছাপুর ইউনিয়নের নির্বাচনি সহিংসতায় নিহত ছাত্রলীগ নেতা সজিব হোসেন

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের ইছাপুর ইউনিয়নের এক কেন্দ্রে ভোট শেষ হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে সংঘর্ষ হয়।

আওয়ামী লীগ ও এর বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের এই সংঘর্ষে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা সজিব হোসেন নিহত হয়েছেন।

ভোট শেষ হওয়া আগমূহুর্তে ইউনিয়নের নয়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে এই সংঘর্ষ হয়।

নিহত সজিব ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহনাজ আক্তারের সমর্থক ছিলেন।

রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, ওই কেন্দ্রের সামনে বিকেল পৌনে চারটার দিকে নৌকা ও এর বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী আমির হোসেন খানের সমর্থকদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে এটি সংঘর্ষ পর্যন্ত গড়ায়।

সে সময় মাথায় আঘাত পান সজিব হোসেন। তাকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে চাঁদপুরে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

কিশোরগঞ্জে ভোটের পর সহিংসতায় আহত হন সদর থানার এক কনস্টেবল

ভোট শেষে হট্টগোল হয়েছে মেহেরপুর, কিশোরগঞ্জ, গাইবান্ধা, রাজবাড়ী ও লালমনিরহাটে।

মেহেরপুরের গাংনীর কাজিপুর ইউনিয়নের বেতবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ‍্যালয় কেন্দ্রে ফল ঘোষণা দেয়ার আগমুহূর্তে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সদস্য প্রার্থীর সমর্থকরা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। কেন্দ্রের ভেতর আটকা পড়েন পোলিং অফিসারসহ অন্য কর্মকর্তারা।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপু সরোয়ার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সদস্য প্রার্থী মো. আলেহীম ও রাকিব হোসেনের সমর্থকরা ফল ঘোষণার আগে কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেন। তারা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। তাদের হটিয়ে দিতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালায় পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যায় অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় আটক করা হয় আলেহীম ও রাকিবকে।

কিশোরগঞ্জ সদরের বৌলাই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের একটি কেন্দ্রে ভোট গণনা শেষে ফল নিয়ে বের হওয়ার সময় প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

এতে আহত হন সদর থানার কনস্টেবল মো. মহসীন ও গণপূর্তের হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম। তাদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কনস্টেবল মহসীনকে নেয়া হয় শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

তবে কারা হামলা চালিয়েছে তা নিশ্চিত করা যায়নি।

নিউজবাংলার প্রতিবেদক হাসপাতালে উপস্থিত সদর থানার পুলিশের কাছ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের সর্বানন্দ ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে ফল ঘোষণার পর কারচুপির অভিযোগ তুলে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন কয়েকজন চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীর সমর্থকরা। এক ঘণ্টা পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।

বটতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু রায়হান দোলন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, ওই কেন্দ্রের ভোট আবার গণনা করা হবে। তাতেও সমাধান না আসলে আবার ভোট হবে ওই কেন্দ্রে।

রাজবাড়ির বালিয়াকান্দির সদর ইউনিয়নে ফল ঘোষণার পর পরাজিত সদস্য প্রার্থীর সমর্থকরা ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। বাধা দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়।

সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পাইককান্দি কেন্দ্রে রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেকুজ্জামান ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, কেন্দ্রের পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এ সময় বিক্ষুব্ধরা একটি মাইক্রোবাস ও একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

স্থানীয়দের বরাতে তিনি আরও জানান, ওই ওয়ার্ডের সদস্যপদে আকরাম হোসেনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এরপর পরাজিত প্রার্থী মো. খোকনের সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হয়ে প্রিসাইডিং অফিসারের কাছ থেকে ব্যালট বাক্স কেড়ে নেয়। তাতেই সংঘর্ষ বাধে।

বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন আহমেদ জানান, ব্যালটবাক্স পরে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা গেছে।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদের ফল ঘোষণা নিয়ে আনারস প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকরা লালমনিরহাট-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে।

স্থানীয়রা জানান, অবরোধকারীরা কয়েকটি দোকান ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর করে এবং সড়কে টায়ার জ্বালায়।

অবরোধের কারণে কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটের সঙ্গে সারা দেশের সড়ক পথে যোগাযোগ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায়।

সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী খায়রুজ্জামান বাদলের সমর্থকরা জানান, ভোট গণনা শেষে ফল না দিয়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা চলে যেতে চাইলে তাকে স্থানীয় লোকজন আটকে দেয়। পরে পুলিশ গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

তবে এ বিষয়ে লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ ছাড়া ভোট চলাকালে দিনভর বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বিভিন্ন জেলায়। জাল ভোট ও ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের খবরও এসেছে কিছু জেলা থেকে।

আগের দুই ধাপের তুলনায় এবার সহিংসতা কম হয়েছে জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘এবার সহিংসতা যাতে না হয়, তার জন্য আগে থেকেই বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আগের চেয়ে বেশি তৎপর ছিল। প্রতিদ্ধন্দ্বী প্রার্থীরাও সহনশীল আচরণ করেছেন। এতে আগের চেয়ে বিচ্ছিন্ন ঘটনাও কম হয়েছে।

‘বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটলেও নির্বাচন কমিশন একটি সহিংসতার ঘটনা ঘটবে বলেও আশা করে না। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পদক্ষেপ এবং প্রার্থীদের সহনশীল এমন আচরণ অব্যাহত থাকলে ধীরে ধীরে সহিংসতা আরও কমবে।’

এর আগে দ্বিতীয় ধাপের ভোটের আগে-পরে অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু নরসিংদীতেই মৃত্যু হয়েছে সাতজনের। এ ছাড়া মাগুরায় ৪, মেহেরপুরে ২ এবং কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে নিহত হয়েছেন ১ জন করে।

এ বিভাগের আরো খবর