বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অলিগলিতে অনুমোদনহীন ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার

  •    
  • ২৯ নভেম্বর, ২০২১ ০৮:৩৬

সরেজমিনে দেখা গেছে, শুধু উপজেলা সদরেই ক্লিনিক রয়েছে ছয়টি। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা ১৪টি। এর মধ্যে অনুমোদন আছে হাতেগোনা কয়েকটির। আবার কয়েকটির লাইসেন্স থাকলেও তার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে অনেক আগেই। অনেক ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স পর্যন্ত নেই।

ফরিদপুরের মধুখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এবং উপজেলা সদরের আনাচ-কানাচে অনুমোদন ছাড়াই গড়ে উঠেছে একাধিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক।

প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব চিকিৎসক, নার্স, প্যাথলজিস্ট বা টেকনিশিয়ানও নেই, অথচ সাইনবোর্ড লাগিয়ে সাধারণ রোগীদের জীবন নিয়ে করছে ব্যবসা।

সরকারি তদারকি না থাকায় দালালচক্রের মাধ্যমে অসাধু ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকরা প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা রোগীদের ঠকিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। অথচ এ বিষয়ে নেয়া হচ্ছে না কার্যকর পদক্ষেপ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শুধু উপজেলা সদরেই ক্লিনিক রয়েছে ছয়টি। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা ১৪টি। এর মধ্যে অনুমোদন আছে হাতেগোনা কয়েকটির। আবার কয়েকটির লাইসেন্স থাকলেও তার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে অনেক আগেই। অনেক ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স পর্যন্ত নেই।

ক্লিনিকগুলোতে বাইরের চিকিৎসক দিয়ে সিজারিয়ান অপারেশনও করা হচ্ছে নিয়মিত। কয়েকটি ক্লিনিকে আবার অস্ত্রোপচার করছেন সহযোগী চিকিৎসকরা। কিছু ক্লিনিকে নেই অপারেশন থিয়েটার পর্যন্ত। এ ছাড়া পরিবেশও অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা।

সম্প্রতি জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে এমন চারটি ক্লিনিক ও হাসপাতালকে কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হলেও তা মানা হয়নি। উপসম ক্লিনিক, কবিতা ক্লিনিক, সুমী প্রাইভেট হাসপাতাল ও দি শাপলা ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে প্রতিষ্ঠানগুলো এখনও তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি ক্লিনিকের দায়িত্বে থাকা একজন জানান, তাদের নিজস্ব কোনো চিকিৎসক ও নার্স নেই। প্রসূতি এলে তারা ফরিদপুর থেকে চিকিৎসক এনে সিজারিয়ান অপারেশন করেন। লাইসেন্স আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আবেদন করা হয়েছে, এখনও অনুমোদন পাননি।

একটি ক্লিনিকে এক্স-রে করতে যাওয়া আসমা বেগম জানান, উপজেলা হাসপাতালের চিকিৎসক বাইরে থেকে এক্স-রে করতে বলেছেন। তাই বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে দ্বিগুণ টাকায় এক্স-রে করিয়েছেন।

প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় ইসিজি, আল্ট্রাসনোগ্রামসহ নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষায়ও তাদের কাছ থেকে ইচ্ছামতো টাকা আদায়ের অভিযোগ করেন তিনি।

শরিফ নামে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এক কর্মচারী জানান, বেশির ভাগ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্যাথলজিস্ট নেই। যেগুলোতে রয়েছে তারা কেউই ডিপ্লোমা করা না। বেশির ভাগই দেখে দেখে শেখা লোক। তাদের দিয়েই পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ করানো হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, কিছু প্রতিষ্ঠান আবার রোগী আসার পর নমুনা ফরিদপুর নিয়ে পরীক্ষা করে এনে রিপোর্ট দেয়। সেই খরচও রোগীর কাছ থেকে তোলা হয়।

মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুস সালাম বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে যেসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অনুমোদন নেই সেগুলো বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

লাইসেন্সের বিষয়ে বলেন, ‘কেউ কেউ লাইসেন্সের জন্য আবেদনও করেছে। আবার অনেকে আবেদন করেনি। লাইসেন্স পাওয়ার জন্য যে দিকনির্দেশনা রয়েছে, তা বেশির ভাগেরই নেই।

‘এক মাস সময় দেয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তাদের প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র ঠিক করতে বলা হয়েছে। এর ব্যত্যয় হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিকুর রহমান চৌধুরী জানান, অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে শিগগিরই তারা ব্যবস্থা নেবেন।

এ বিভাগের আরো খবর