বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিক্ষার্থীদের চুল কর্তন: ৩ বছর ক্লাস নিতে পারবেন না ফারহানা

  •    
  • ২৮ নভেম্বর, ২০২১ ২৩:৫৮

অফিস আদেশে বলা হয়েছে, রবীদ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিভাগের ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষা কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রভাষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন শিক্ষার্থীদের পাঠদান, পরীক্ষা গ্রহণসহ যাবতীয় অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবেন।

সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেয়ায় শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে স্বপদে বহাল রাখলেও তিন বছর শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবনের নোটিশ বোর্ডে রোববার সন্ধ্যায় এ বিষয়ে অফিস আদেশ দেখা যায়। রেজিস্ট্রার মো. সোহরাব আলীর সই করা অফিস আদেশ সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

অফিস আদেশে বলা হয়, রবীদ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিভাগের ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষা কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রভাষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন শিক্ষার্থীদের পাঠদান, পরীক্ষা গ্রহণসহ যাবতীয় অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবেন।

অফিস আদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সই করেছেন ২১ নভেম্বর।

২৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিভাগের প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার হলে প্রবেশের সময় কাচি দিয়ে ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেয়ার ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে অভিযোগ উঠলে ওই বিভাগের চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে বরখাস্তের দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।

পরীক্ষা বর্জন করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে প্রায় এক মাস অচল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ১৬তম বিশেষ সভায় শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও উত্তেজনা কমেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানায় প্রশাসন।

ইয়াসমিন বাতেন মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেয়ার ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট।

সেই সঙ্গে ১৪ শিক্ষার্থীকে ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তাও জানতে চায় আদালত।

এ সংক্রান্ত এক আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি মো. মুজিবর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

একই সঙ্গে সারা দেশে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে একটি গাইড লাইন তৈরিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবেনা তাও জানতে চায় হাইকোর্ট। অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা ৩০ দিনের মধ্যে জানাতে বলা হয়।

এছাড়াও মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগমের সই করা এক আদেশে ২৯ নভেম্বরের মধ্যে ইউজিসিকে ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্তের পর অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার অফিস আদেশ জারি করেছে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরাও শাস্তির বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি সম্মানজনক সমাধান বলে ধরা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল, তা আশা করা যায় নিরসন সম্ভব হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর