চট্টগ্রামে বৈদ্যুতিক ফাঁদ ব্যবহার করে হাতি হত্যা মামলার এক আসামির মৃত্যু হয়েছে ওই প্রাণীর আক্রমণেই।
চকরিয়া উপজেলার জঙ্গল হারবাং এলাকার জানে আলম নামে ওই ব্যক্তি শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে হাতির আক্রমণে মারা যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম।
রোববার রাত ১০টার দিকে তিনি বলেন, ‘জানে আলম হাতি হত্যা মামলার আসামি। শনিবার তিনি হাতির আক্রমণে মারা গেছেন। তার মরদেহ বন বিভাগ শনাক্ত করেছে। এরই মধ্যে তার দাফন শেষ হয়েছে।’
বন কর্মকর্তা শফিকুল জানান, গত ১৩ নভেম্বর জঙ্গল হারবাং এলাকায় বৈদ্যুতিক ফাঁদ ব্যবহার করে ১৫ বছরের একটি পুরুষ হাতিকে হত্যা করা হয়। ময়নাতদন্তেও বৈদ্যুতিক ফাঁদ দিয়ে হাতিটি হত্যার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় জানে আলম ২ নম্বর আসামি ছিলেন।
হাতির অভয়ারণ্য ও বনাঞ্চলে বন্য প্রাণীর প্রাকৃতিক খাদ্যশৃঙ্খল নষ্ট হওয়ায় সম্প্রতি চট্টগ্রাম অঞ্চলে মানুষের সঙ্গে স্থলের সর্ববৃহৎ প্রাণীটির সংঘাত বেড়েছে।
খাবারের খোঁজে হাতিরা লোকালয়ে এসে যেমন তাণ্ডব চালাচ্ছে, আবার মানুষও সুযোগ পেলে তাদের হত্যা করছে।
বন বিভাগের তথ্যে, ২০১৫ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দেশে মৃত্যু হয়েছে ৭৬টি বন্য হাতির। তবে প্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে, গত দুই বছরেই মৃত্যু হয়েছে ৪০টি বন্য হাতির। এর মধ্যে ২০২০ সালে ২২টি ও ২০২১ সালের সাড়ে ১০ মাসে ১৮টি হাতির মৃত্যুর হয়েছে। চলতি নভেম্বরেই মারা গেছে ৭টি।
এমন পরিস্থিতিতে গত ২২ নভেম্বর হাতির নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিতে বৃহত্তর চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ সারা দেশে বন বিভাগ থেকে হাতি চলাচলের জন্য চিহ্নিত ১২টি করিডর সংরক্ষণে নির্দেশনা দিয়েছে উচ্চ আদালত।