ত্রিপুরা পৌরসভা ভোটে ২০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে মাত্র দুই মাসে বামদের পেছনে ফেলে একাধিক পৌরসভায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘সবে তো শুরু, এবার আসল খেলা হবে।’
ত্রিপুরার পৌরসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লেখেন, ‘খুবই সামান্য সময়ের উপস্থিতিতে একটি দলের পক্ষে পৌর ভোটে লড়া এবং ২০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকায় উঠে আসা, সত্যিই অভূতপূর্ব ব্যাপার।’
বিজেপির বিপুল জয়ে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব বলেন, ‘এটা ত্রিপুরার মানুষের জয়। সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু ভাগাভাগি মানেননি তারা। বহু মানুষ রাজ্যের বদনাম করতে চেয়েছে, তাদের যোগ্য জবাব দিয়েছ ত্রিপুরার মানুষ।’
রোববার আগরতলায় কড়া নিরাপত্তায় ছয়টি নগর পঞ্চায়েত ১৩টি পৌরসভার ভোট গণনা হয়। মোট ৩৩৪টি আসনে নির্বাচন হয়। এর মধ্যে ৩২৯টি আসনে জয় পায় বিজেপি।
সিপিএম তিনটি এবং তৃণমূল একটি আসনে জয়লাভ করেছে। প্রদ্যুৎ মানিক্য দেব বর্মনের টিপ্রা মোথা পেয়েছে একটি আসন।
বিজেপি ১১২টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছে। তবে ত্রিপুরার মাটিতে মাত্র দুই মাসে তৃণমূলের উত্থান নজর কাড়ার মতো।
বিজেপির হামলার মুখে লড়াই করে ত্রিপুরা পৌর ভোটের ফলে তাদের উজ্জ্বল উপস্থিতি বামেদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে পেছনে ফেলে দিয়েছে ।
তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুনাল ঘোষ ত্রিপুরা ভোটের ফলাফল নিয়ে টুইট করে লেখেন, ‘ত্রিপুরায় তৃণমূলের দুই মাসের সংগঠনকে ঠেকাতে এত হামলা, মামলা এবং তাণ্ডব চালানো হয়েছে। এরপরেও বহু ওয়ার্ডে দ্বিতীয় হয়েছে তৃণমূল। আমবাসা ভোটে জিতেছে দল। দলের লড়াই আর মানুষের সমর্থনকে ধন্যবাদ।’
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরাজিত করে মে মাসের পর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস ত্রিপুরায় তাদের সংগঠন মজবুত করতে সক্রিয় হয়। এতে বিজেপির বাধার মুখে পড়ে তারা। বাধার মুখে পড়লেও অল্প সময়ের মধ্যে ত্রিপুরার রাজনীতিতে তারা জায়গা করে নেয়।
আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল বলছে, ২০২৩ সালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হলো, এবার খেলা হবে।