বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘বঙ্গোপসাগরের ৮০ ভাগে এখনো হাতই পড়েনি’

  •    
  • ২৮ নভেম্বর, ২০২১ ২১:১৭

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, ‘মেরিন ট্যুরিজম বর্তমান বিশ্বে একটি সম্ভাবনাময় খাত। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই খাতে নিজেদেরকে এগিয়ে নিতে হবে।’

বাংলাদেশ গভীর সমুদ্রের মাত্র ২০ ভাগ এলাকায় মাছ আহরণ করে থাকে। বাকি ৮০ শতাংশ অধরা রয়ে গেছে। বঙ্গোপসাগরের এসব এলাকায় এখনও মৎস্যজীবীদের হাতই পড়েনি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।

রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) আয়োজিত ব্লু ইকোনমি অন ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট সামিটে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ড. মোমেন বলেন, মৎস্য শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতিতে মাত্র ১২ শতাংশ অবদান রাখে। দেশের মানুষের প্রাথমিক প্রোটিনের যোগান, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, বৈদেশিক আয় ও খাদ্য নিরাপত্তা মৎস্য শিল্পের সঙ্গে জড়িত। তবে বাস্তবতা হল গভীর সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণে বাংলাদেশ এখনও পিছিয়ে আছে।

মন্ত্রী বলেন, ‘সমুদ্রে বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের সমুদ্রে ৪৭৫টি জলজ প্রাণী রয়েছে। কিন্তু আমরা আহরণ করি মাত্র ১২০ প্রজাতির মাছ। অর্থাৎ মাত্র ২৫ শতাংশ মাছ ধরছি আমরা। গভীর সমুদ্রের মাত্র ৫০ থেকে ৬০ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে আমরা মাছ ধরে থাকি।

‘অন্যদিকে বিশ্ব চাহিদার কারণে দেশে জাহাজ নির্মাণ শিল্প উত্তরোত্তর উন্নতি করছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী জাহাজ নির্মাণ শিল্প ১৬শ’ বিলিয়ন ডলারের। বাংলাদেশ এর ১ শতাংশ দখল করতে পারলেও ১৬ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হতে পারে।’

মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশের তেল ও গ্যাস শিল্প বিদেশি বিনিয়োগের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে। মেরিন ট্যুরিজম বর্তমান বিশ্বে একটি সম্ভাবনাময় খাত। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই খাতে নিজেদেরকে এগিয়ে নিতে হবে।

‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বঙ্গোপসাগরের সামুদ্রিক সম্পদের ওপর বাংলাদেশের মানুষের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সমুদ্রসম্পদ অনুসন্ধান ও আহরণের জন্য ১৯৭৪ সালে টেরিটোরিয়াল ওয়াটার অ্যান্ড মেরিটাইম জোন আইন প্রণয়ন করেন।’

এ বিভাগের আরো খবর