ঢাকার সাভারে দাম্পত্য কলহের জেরে স্বামীকে গরম তেলে ঝলসে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী ফরিদা বেগমের বিরুদ্ধে।
গুরুতর দগ্ধ স্বামী আমিনুর ইসলামকে হাসপাতালে না নিয়ে তিনি ঘরে আটকে চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। দগ্ধ হওয়ার নয় দিন পর আমিনুরকে গাজীপুরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল বিশেষায়িত হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় রোববার দুপুর ২টার দিকে তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের হেমায়েতপুরের নতুনপাড়া এলাকা থেকে পুলিশ ফরিদাকে আটক করেছে।অভিযোগ উঠেছে, নতুনপাড়া এলাকার মুক্তার আলীর ভাড়া বাড়িতে ১৯ নভেম্বর আমিনুরকে গরম তেলে ঝলসে দেন ফরিদা।
হেমায়েতপুর ট্যানির পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) সুজন শিকদার নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
৩০ বছর বয়সী আমিনুর ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গা থানার বারসা গ্রামের হাকিম উদ্দিনের ছেলে। তার স্ত্রী ফরিদা রাজবাড়ীর পাংশা থানার হরিনাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। তারা সাভারে আলাদা দুটি পোশাক কারখানার শ্রমিক।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে এসআই সুজন জানান, ১৯ নভেম্বর দুপুরে দাম্পত্য কলহের জের ধরে ফরিদা তার স্বামী আমিনুরের শরীর ও মুখ গরম তেলে ঝলসে দেন। এতে গুরুতর দগ্ধ আমিনুরকে নয় দিন ধরে ঘরে রেখেই চিকিৎসা দিচ্ছিলেন ফরিদা।
তিনি বলেন, ‘দুপুরে আমিনুরের বোন গ্রামের বাড়ি থেকে হেমায়েতপুরে আসেন। তিনি ঘটনা শিল্প পুলিশকে জানান। দুপুর দেড়টার দিকে আমিনুরকে উদ্ধার করে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল বিশেষায়িত হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করে পুলিশ।’
এসআই সুজন আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় দুপুরেই অভিযুক্ত ফরিদাকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। আমিনুরের মা গ্রামের বাড়ি থেকে এসে লিখিত অভিযোগ করার কথা। এরপরই মামলা নথিভুক্ত করা হবে।’