৯ দফা দাবি বাস্তবায়নে রোববার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত ধানমন্ডির ২৭ নম্বর সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছেন রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এ সময় তারা তাদের দাবি নিয়ে স্লোগান দেয়ার পাশাপাশি ধানমন্ডি-মিরপুর সড়কে চলচলকারী বিভিন্ন যানবাহন ও চালকের কাগজপত্র যাচাই করেন। যাচাইয়ে কারও অসংগতি পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে মামলা দিতে উপস্থিত ট্রাফিক সার্জেন্টকে উদ্বুদ্ধ করেন তারা। এভাবে দুই ঘণ্টার আন্দোলনে প্রায় ৫০টির মতো মামলা দেয়া হয়েছে।
ব্যক্তিগত ও গণপরিবহন থেকে শুরু করে মামলার তালিকা থেকে বাদ যায়নি পুলিশ, সাংবাদিক ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের গাড়িচালকও।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার গাড়িচালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স যাচাই করে শিক্ষার্থীরা দেখতে পান, ওই চালকের লাইসেন্স থাকলেও তার মেয়াদ নেই। ২০১৩ সালে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর গত ৮ বছর তিনি লাইসেন্স নবায়ন করেননি। শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে ওই চালককে ২ হাজার টাকার মামলা দেন ট্রাফিক সার্জেন্ট।
মোটরসাইকেলচালক দুই পুলিশ সদস্যের কাগজও যাচাই করেন তারা। হেলমেট ও ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় তাদের বিরুদ্ধেও মামলা দিতে বাধ্য করেন শিক্ষার্থীরা।
পুলিশ, সাংবাদিক, সরকারি গাড়ি ছাড়াও ব্যক্তিগত ও গণপরিবহনের কাগজপত্রও যাচাই করেন শিক্ষার্থীরা
এভাবে দুই ঘণ্টার আন্দোলন কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের চাপে ৫০টির বেশি মামলা করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাফিক সার্জেন্ট হাবিবুর রহমান হাবিব। তিনি বলেন, ‘ছাত্র-ছাত্রী নিজেরাই বিভিন্ন গাড়ির কাগজ চেক করছিল। বিশেষ করে সরকারি গাড়ি, পুলিশের গাড়ি ও সাংবাদিকদের গাড়ি পেলে তারা বেশি চেক করছিল। যাদের কাগজে অসংগতি পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ জরিমানা করা হয়েছে।’