বয়সের ভারে চামড়া কুঁচকে গেছে ১১০ বছরের জামেলা বেগমের। তবু ভাশুরের ছেলেকে নির্বাচিত করতে তিনি শেষ বয়সেও ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকেননি। তাই ঠেলাগাড়িতে করে ভোট দিতে গিয়েছিলেন তিনি।
রোববার বেলা ১টার দিকে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের পলাশীকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিয়েছেন তিনি।
৪ মেয়ে ও ২ ছেলের এই জননী দক্ষিণ পলাশীকুড়া গ্রামের বাসিন্দা। ২০ বছর আগে স্বামী ইয়াদ আলী মারা যান।
তার ছোট মেয়ে কমলার সঙ্গে ভোট দিতে গিয়েছিলেন তিনি। কমলা বলেন, ‘আমার চাচাতো ভাই শেখ ফরিদ কল মার্কা নিয়া মেম্বার দাঁড়াইছে। আর এই জন্য মা নিজে থেকেই ভোট দিতে আসছে।
‘নির্বাচনে ১টা ভোটও অনেক দামি। ১ ভোটের জন্যও ফেইল করে মানুষ। আমার মা বিছানা থেকে একা উঠতে পারে না। তারে সব সময় একজন লোক দেখাশোনা করে। এটি তার জীবনের তো শেষ ভোটও হতে পারে।’
বয়স্ক জামেলা বেগম বলেন, ‘মেলা দিন পর ভোট হইতাছে। আর কোনসুম মইরা যাই কওন যায় না। আমার ছাওয়াল (ভাশুরের ছেলে) মেম্বর খারাইছে। তারে আমি ভোট না দিবার পাইলে মরেও শান্তি পেতাম না। শেষ বয়সে ভোট দিলাম। খুব ভালা লাগতাছে।’
তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠেয় শেরপুরের নালিতাবাড়ীর ১২ ও নকলা উপজেলার ৯টিসহ ২১টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হয়েছে।
এ ব্যাপারে পলাশীকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং অফিসার মিজানুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা অসুস্থদের আগে ভোট দিতে সহযোগিতা করেছি। এই কেন্দ্রে শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।’