বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও আইনের শাসন এখন কবরে বলে মন্ত্রব্য করেছেন বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা।
তিনি বলেছেন, ‘আমাদের একজন নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, নির্বাচন এখন আইসিইউতে। গণতন্ত্র লাইফ সাপোর্টে। আমি এ কথার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আমি এর সঙ্গে একমত নই। বাংলাদেশে নির্বাচন বলেন, গণতন্ত্র বলেন, মানবাধিকার বলেন, আইনের শাসন বলেন এরা আইসিইউতে নাই। এরা এখন অলরেডি কবরে। ডেড অ্যান্ড বারিড।’
রোববার জাতীয় সংসদের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে আমেরিকার গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশের আমন্ত্রণ না পাওয়া নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেন রুমিন ফারহানা।
তিনি বলেন, ‘দেশের আর সব মন্ত্রী যখন কথা বলেন তখন তা দেশের ভেতরেই থাকে। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আর সব মন্ত্রীর পার্থক্য হচ্ছে উনি যখন কিছু বলেন তখন তা আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।’
রুমিন ফারহানা বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যাখ্যা হচ্ছে আমেরিকার গণতন্ত্রের সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দুর্বল গণতন্ত্রের দেশগুলোকে। আমরা এতদিন জানতাম, পৃথিবীর সবচেয়ে উদার গণতন্ত্রাতিক দেশের তালিকা করলে পশ্চিম ইউরোপ ও স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলো থাকবে।
‘এখন আমরা বুঝলাম, তাদের দেশের গণতন্ত্র দুর্বল। কারণ, এরা এ সম্মেলনে আমন্ত্রিত হয়েছে। ঠিক যেভাবে আমন্ত্রিত হয়েছে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও জাপান। এ দেশগুলোকে উন্নত গণতন্ত্রের দেশ হিসেবে জানি।’
তিনি বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যাখ্যা অনুযায়ী, গণতান্ত্রিক সম্মেলনে দাওয়াত না পাওয়া যদি শক্তিশালী গণতন্ত্রের ‘লিটমাস টেস্ট হয়, তাহলে বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী গণতন্ত্রের দেশের উদাহরণ হচ্ছে মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, তুর্কমেনিস্তান এবং মধ্য এশিয়ার অন্যান্য দেশ। চীন, উগান্ডা, রুয়ান্ডা, সোমালিয়া, কঙ্গোসহ আফ্রিকার প্রায় সকল দেশ। গণতন্ত্র নিয়ে সারা বিশ্বের সম্ভবত আবার নতুন করে পাঠ করার সময় এসেছে।’