বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

২ ঘণ্টা বিক্ষোভের পর ধানমন্ডির সড়ক ছাড়লেন শিক্ষার্থীরা

  •    
  • ২৮ নভেম্বর, ২০২১ ১৬:২২

ডিএমপির ধানমন্ডি জোনের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার ইহসানুল ফিরদাউস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা প্রায় দুই ঘণ্টা তাদের আন্দোলনের পর রাস্তা ছেড়েছে। পুরো সময় আমরা তাদের বুঝিয়েছি যেন সাধারণদের ভোগান্তি সৃষ্টি না হয়। তারা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে ফিরে গেছে। এখন রাস্তায় যানবাহনের কিছুটা চাপ রয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যে আশা করি, যানজট পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’

৯ দফা দাবিতে টানা দুই ঘণ্টা আন্দোলনের পর ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের রাস্তা ছেড়েছেন শিক্ষার্থীরা। এতে ওই এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক রূপে ফিরেছে।

বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে ধানমন্ডি ২৭ নম্বর মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভে নামেন ধানমন্ডি গভ. বয়েজ স্কুল, মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল, রেসিডেনশিয়াল মডেল স্কুল ও সেন্ট জোসেফ স্কুলের কয়েক শ শিক্ষার্থী। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম বাসে হাফ পাস কার্যকর, নটর ডেমের নাঈম হাসানের নিহতের ঘটনায় বিচার।

শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায়ে স্লোগান দিতে থাকেন, আবার কেউ কেউ বিভিন্ন গাড়ির চালকদের লাইসেন্স যাচাই করেন। ফলে ধানমন্ডি মিরপুর সড়কে প্রচণ্ড যানজট সৃষ্টি হয়। আড়াইটার দিকে দিনের কর্মসূচি শেষে ছাত্ররা রাস্তা থেকে সরে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ডিএমপির ধানমন্ডি জোনের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার ইহসানুল ফিরদাউস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা প্রায় দুই ঘণ্টা তাদের আন্দোলনের পর রাস্তা ছেড়েছে। পুরো সময় আমরা তাদের বুঝিয়েছি যেন সাধারণদের ভোগান্তি সৃষ্টি না হয়। তারা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে ফিরে গেছে। এখন রাস্তায় যানবাহনের কিছুটা চাপ রয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যে আশা করি, যানজট পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’

দুপুরে ৯ দফা দাবিতে শান্তিনগরেও বিক্ষোভ করে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। ঘণ্টা খানেক পর রাস্তা ছাড়েন তারা। রামপুরা ব্রিজের ওপর ৪৫ মিনিটের মতো অবস্থান নেয় ইমপিরিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা। ডিএমপি পুলিশ থেকে জানানো হয়েছে, শিক্ষার্থীরা এখন রাস্তায় নেই। যান চলাচল স্বাভাবিক।

গত বুধবার বেলা ১১টার দিকে গুলিস্তান বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের দক্ষিণ পাশে নটর ডেম কলেজের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী নাঈম হাসানকে ধাক্কা দেয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটি ময়লাবাহী ট্রাক। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনার বিচার, বাসে হাফ পাস কার্যকর এবং নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে ৯ দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো:

০১. দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে শিক্ষার্থীসহ সকল সড়ক হত্যার বিচার করতে হবে ও পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

০২. ঢাকাসহ সারা দেশে সকল গণপরিবহনে (সড়ক, নৌ, রেল ও মেট্রোরেল) শিক্ষার্থীদের হাফ পাস নিশ্চিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।

০৩. গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং জনসাধারণের চলাচলের জন্য যথাস্থানে ফুটপাত, ফুটওভার ব্রিজ বা বিকল্প নিরাপত্তা ব্যবস্থা দ্রুততর সময়ের মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে।

০৪. সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সকল যাত্রী এবং পরিবহন শ্রমিকের যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও পূনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে।

০৫. পরিকল্পিত বাস স্টপেজ ও পার্কিং স্পেস নির্মাণ ও যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে (এক্ষেত্রে প্রয়োজনে কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে)।

০৬. দ্রুত বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ও যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের দায়ভার সংশিষ্ট ব্যক্তি বা মহলকে নিতে হবে।

০৭. বৈধ ও অবৈধ যানবাহন চালকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বৈধতার আওতায় আনতে হবে এবং বিআরটিএর সকল কর্মকাণ্ডের ওপর নজরদারি ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

০৮. আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঢাকাসহ সারা দেশে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা অবিলম্বে স্বয়ংক্রিয় ও আধুনিকায়ন এবং পরিকল্পিত নগরায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

০৯. ট্রাফিক আইনের প্রতি জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য একে পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচার করতে হবে।

দাবিগুলো আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

এ বিভাগের আরো খবর