বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিচারক-নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইনের খসড়া হচ্ছে

  •    
  • ২৮ নভেম্বর, ২০২১ ১৫:৫৪

নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইন নিয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘আমার পরিকল্পনা (চলতি সংসদের) পরের সংসদ বা তার পরের সংসদে আমরা এটা আলাপ করব, কিন্তু অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ তাড়াহুড়ো করে ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে করা যাবে না বলেই আমি বলেছি।’

উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে দুটি আইনের খসড়া হচ্ছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ২০২২ সালে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের আগে আইন করা সম্ভব হবে না।

তিনি বলেছেন, সংসদের আগামী বা তার পরের অধিবেশনে এ আইন নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

জাতীয় সংসদে রোববার সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) বিলের আলোচনায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আনিসুল বলেন, ‘আমার পরিকল্পনা (চলতি সংসদের) পরের সংসদ বা তার পরের সংসদে আমরা এটা আলাপ করব, কিন্তু অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ তাড়াহুড়ো করে ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে করা যাবে না বলেই আমি বলেছি।’

তিনি বলেন, ‘প্র্যাকটিক্যাল স্পিকিং অ্যান্ড স্পিকিং দ্য ট্রুথ ইজ দ্য রাইট থিং। সেই জন্য আমি আশ্বস্ত করিনি, তবে দুটোই আমরা করার চেষ্টা করছি।’

এর আগে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেন, বিচার বিভাগ ও নির্বাচন কমিশন নিয়ে অনাস্থা তৈরি হয়েছে। বিচারপতি নিয়োগে আইন হয়নি। আগামী ফেব্রুয়ারিতে ইসির মেয়াদ শেষ হবে। এখনও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইন হয়নি।

তিনি এ সময় প্রশ্ন রাখেন সরকার ২০১৮ সালের মতো আরেকটি নির্বাচন করতে চাইছে কি না। তার মতে, এ ধরনের নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না।

ওই সময় তিনি ইসি নিয়োগে আইন করার দাবি জানান। একই দাবি জানান জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক।

‘বিএনপির বক্তব্য সঠিক নয়’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সরকারের কাস্টডিতে আছেন বলে বিএনপি সংসদ সদস্যরা যে বক্তব্য দিচ্ছেন, তা সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি বলেন, ‘উনি (খালেদা জিয়া) সরকারের কাস্টডিতে নেই। মুক্ত বলেই তিনি মুক্তভাবে বাসায় থাকতে পারছেন, মুক্তভাবে চিকিৎসা নিতে পারছেন।’

খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তি দেয়া হয়েছে। তিনি দুটো শর্তে সম্পূর্ণ মুক্ত। উনি আমাদের কাস্টডিতে নেই।’

এর আগে সংসদে বিএনপির সংসদ সদস্যরা অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়ার বাসাকে সাব-জেল বানিয়ে তাকে সেখানে রাখা হয়েছে।

জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘উনারা কেবল বলেন, সাব-জেল বানিয়ে রাখা হয়েছে। উনার বাসাটাকে কোনো জেলই বানানো হয়নি। উনাদের (বিএনপির) তথ্যে কেন এত বিভ্রাট, তা বুঝতে পারি না। এতই যদি ভালোবাসা থাকে, তাহলে তো তথ্যটি জেনে এখানে কথা বলতে পারেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এত সুপারফিসিয়ালি কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক কারণে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় দণ্ডাদেশ স্থগিত করে তাকে (খালেদা জিয়াকে) ৬ মাস করে মুক্তি দিয়েছেন। তিনি সম্পূর্ণ মুক্ত।

‘সেখানে দুটো শর্ত যুক্ত ছিল। সেটা এখনও আছে। মুক্ত বলে তিনি মুক্তভাবে বাসায় থাকতে পারছেন। মুক্ত আছেন বলেই তিনি মুক্তভাবে চিকিৎসা নিতে পারছেন।’

৪০১ ধারার ব্যাখ্যায় আইনমন্ত্রী বলেন, ‘৪০১ ধারায় যাকে মুক্তি দেয়া হবে, তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না, এমন কোনও কথা নেই, কিন্তু কথা আছে শর্তযুক্ত অথবা শর্তমুক্ত। আমরা সেখানে বলেছি, উনি বিদেশ যেতে পারবেন না, বাংলাদেশে থেকে চিকিৎসা নেবেন। উনি অবশ্যই মুক্ত। অবশ্যই মুক্ত।

‘উনি আমাদের কাস্টডিতে নেই। উনি সরকারের কাস্টডিতে নেই। উনি এখানকার (দেশে) যেখানে ইচ্ছা, সেখানেই চিকিৎসা নিতে পারেন এবং সেটা তিনি নিচ্ছেন। বিএনপির সংসদ সদস্যরা বলছেন, উনাদের নেত্রী কাস্টডিতে। উনি কাস্টডিতে নেই। শি ইজ ফ্রি অ্যান্ড শি ইজ টেকিং ট্রিটমেন্ট অ্যাকর্ডিং টু হার উইল।’

খালেদা জিয়ার বিষয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না উল্লেখ করে আনিসুল বলেন, ‘আমি বলেছি একটা বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলে সেখানে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না। এটা চাইলে উনাকে অরিজিনাল পজিশনে যেতে হবে। তারপর নতুন সিদ্ধান্ত হয়তো নেয়া যাবে।

‘৪০১ ধারার বিষয়ে বিএনপি থেকে যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে, তার সঙ্গে আমার দ্বিমত আছে। আমি আমার অবস্থান থেকে নড়ব না।’

এ বিভাগের আরো খবর