লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের একটি ভোটকেন্দ্রে ইউনিয়ন পরিষদের দুই সদস্য পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
দক্ষিণ চরবংশীর পশ্চিম চরলক্ষ্মী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকালের ওই ঘটনায় সদস্য পদপ্রার্থীসহ ৬ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে নির্বাচনি সহিংসতার আশঙ্কায় বাদুর ইউপির বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৩০ জনকে অস্ত্রসহ আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় লোকজন জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ইউপি সদস্য পদপ্রার্থী আলমগীর হোসেন তার সমর্থকদের নিয়ে কেন্দ্রে যাওয়ার সময় অন্য সদস্য পদপ্রার্থী খালেকুজ্জামান খালেক তাদের বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়।
এতে খালেকুজ্জামানসহ দুই পক্ষের ছয়জন আহত হয়েছেন।
এর আগে রামগঞ্জের বাদুর ইউপি আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ হোসেনের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হানুবাইশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে নির্বাচনি সহিংসতা ঠেকাতে ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ ৩০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার ভোরে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১টি এলজি, ১টি ছুরি ও ১টি রামদা উদ্ধার করা হয়।
রামগঞ্জ থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নির্বাচনে সহিংসতা করতে মধ্য বাদুরসহ বিভিন্ন স্থানে তারা অবস্থান নিয়েছিল। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩০ জনকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে এলজিসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হতে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।’
জেলার লক্ষ্মীপুর পৌরসভা, রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলার ২০ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শান্তিপর্ণূভাবে চলছে। সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোট চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
পুরুষের চেয়ে এবার কেন্দ্রে নারীদের উপস্থিতি বেশি।
প্রতিটি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি প্রশাসনের কর্মকর্তারাও মাঠে আছেন।
এর মধ্যেই নৌকা প্রতীকের এজেন্ট ছাড়া অন্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ২৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৫টি অতি গুরুত্বপর্ণ। এ ছাড়া রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলার ২০টি ইউনিয়নের ১৯২টি কেন্দ্রে বেশির ভাগই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই প্রতিটি কেন্দ্রে ব্যাপক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে।
এরই মধ্যে রায়পুর উপজেলায় তিন ইউপিতে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এবং দুই উপজেলায় সংরক্ষিত মহিলা ও পুরুষ পদে ১৬ জন সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
১৭টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৭৮ জন, ২০টি ইউপিতে সংরক্ষিত মহিলা ও পুরুষ সদস্য পদে ৯৮৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় ৪ জন মেয়র এবং ১০০ জন সংরক্ষিত মহিলা ও পুরুষ কাউন্সিলর মাঠে রয়েছেন।