বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আবরারের বাবার আশা, রায় আর পেছাবে না

  •    
  • ২৮ নভেম্বর, ২০২১ ১৪:১৮

আবরারের বাবা বলেন, ‘মামলার পুরো সময় প্রতিটি ধার্য তারিখে আদালতে বসে থেকেছি। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী যথেষ্ট আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেছেন। বিজ্ঞ বিচারক অনেক আন্তরিকতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে মামলার সব প্রক্রিয়া সমাপ্ত করেছেন। এখন এই আলোচিত রায়ের জন্য সময় তো দরকার হবেই। তাই আশা প্রকাশ করছি, আগামী ধার্য তারিখে মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। আমরাও ছেলে হত্যার ন্যায়বিচার পাব।’

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায়ের নতুন তারিখ দিয়েছে আদালত। রায়ের তারিখ আর পেছাবে না বলে আশা আবরারের বাবা বরকত উল্লাহর।

ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে আলোচিত মামলাটির রায় ঘোষণার কথা ছিল। কাঠগড়ায় তোলা হয়েছিল মামলাটির ২৫ আসামির ২২ জনকে। তাদের নামও ডাকা হয়।

এই রায় উপলক্ষে মহানগর দায়রা আদালতপাড়ায় তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। এ সময় আসামির স্বজনদের আদালতের সামনে অপেক্ষমাণ থেকে দোয়াদরুদ পড়তেও দেখা যায়।

জনাকীর্ণ আদালতে দুপুর ১২টা ৬ মিনিটে বিচারক আবু জাফর জানান, রায় প্রস্তুত করার জন্য আরও কিছুটা সময় দরকার। তাই আগামী ৮ ডিসেম্বর এই মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।

এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ, মামা মোফাজ্জেল হোসেন ও ছোট চাচা এবং এই হত্যা মামলার ৩৫ নম্বর সাক্ষী মনিরুল ইসলাম।

বরকত উল্লাহর আশা, আগামী ধার্য তারিখেই ছেলে হত্যা মামলার রায় দেখতে পাবেন। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘মামলার পুরো সময় প্রতিটি ধার্য তারিখে আদালতে বসে থেকেছি। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী যথেষ্ট আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেছেন। বিজ্ঞ বিচারক অনেক আন্তরিকতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে মামলার সব প্রক্রিয়া সমাপ্ত করেছেন। এখন এই আলোচিত রায়ের জন্য সময় তো দরকার হবেই। তাই আশা প্রকাশ করছি, আগামী ধার্য তারিখে মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। আমরাও ছেলে হত্যার ন্যায়বিচার পাব।’

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর আবু আব্দুল্লাহ ভুঞা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই মামলার রায় একটি আলোচিত বিষয়। তাই এই রায় প্রস্তুত করাটা একটি সময়সাপেক্ষ বিষয়। তাই আশা করছি, আগামী তারিখের আগে রায় প্রস্তুতের কাজ সম্পন্ন হবে এবং যথাসময় রায় ঘোষণা করাও সম্ভব হবে।’

আসামিপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এই মামলার অনেক আসামি ও মামলার জিডি এবং এজাহার সম্পর্কিত অনেক বিবেচ্য বিষয় রয়েছে। তাই রায় প্রস্তুত করতে সময় লাগাটা স্বাভাবিক, একটি-দুটি তারিখ পড়াটাও কোনো ব্যাপার নয়।’

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের এক দল নেতা-কর্মী। এই ঘটনায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। এর জেরে প্রতিষ্ঠানটিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় ছাত্র রাজনীতি।

আবরারকে হত্যার পরের দিন চকবাজার থানায় ১৯ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ। ওই বছরের ১৩ নভেম্বর ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক ওয়াহেদুজ্জামান।

২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলা বিচারে এসেছিল। দুই পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে গত ১৪ নভেম্বর বিচারক এ মামলার রায়ের জন্য ২৮ নভেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন। তবে এই তারিখে রায় হয়নি।

রায় উপলক্ষে আদালতে তোলা হয়েছিল আসামিদের। ছবি: নিউজবাংলা

এজাহারের ১৯ আসামি

বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল (সিই বিভাগ, ১৩তম ব্যাচ), সহসভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ (১৪তম ব্যাচ, সিই বিভাগ), সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার (মেকানিক্যাল ইঞ্জনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির (ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জীওন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশারফ সকাল (বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য মুনতাসির আল জেমি (এমআই বিভাগ), সদস্য মুজাহিদুর রহমান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য হোসেন মোহাম্মদ তোহা (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), সদস্য এহতেশামুল রাব্বি তানিম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মাজেদুল ইসলাম (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), আকাশ হোসেন (সিই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), খন্দকার তাবাখ্খারুল ইসলাম তানভীর (মেকানিক্যাল, ১৭তম ব্যাচ), মাহমুদুল জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), মোয়াজ আবু হোরায়রা (সিএসই, ১৭ ব্যাচ), এ এস এম নাজমুস সাদাত (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ)।

এজাহারের বাইরের ৬ আসামি

বুয়েট ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না (মেকানিক্যাল, তৃতীয় বর্ষ), আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং), মিজানুর রহমান (ওয়াটার রিসোসের্স, ১৬ ব্যাচ), শামসুল আরেফিন রাফাত (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং), উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ (কেমিকৌশল) ও মাহামুদ সেতু (কেমিকৌশল)।

পলাতক ৩ জন

এহতেশামুল রাব্বি তানিম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মাহমুদুল জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ) ও মুজতবা রাফিদ (কেমিকৌশল)।

স্বীকারোক্তি দেয়া ৮ জন

মেহেদী হাসান রবিন, অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মনিরুজ্জামান মনির, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ, এ এস এম নাজমুস সাদাত ও খন্দকার তাবাখ্খারুল ইসলাম তানভীর।

মারপিটে সরাসরি জড়িত ১১ জন

মেহেদী হাসান রবিন, অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মনিরুজ্জামান মনির, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ, শামীম বিল্লাহ, এ এস এম নাজমুস সাদাত, মুনতাসির আল জেমি, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও খন্দকার তাবাখ্খারুল ইসলাম তানভীর।

ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত ১১ জন

মেহেদী হাসান রাসেল, মুহতাসিম ফুয়াদ, মেহেদী হাসান রবিন, অনিক সরকার, মেফতাহুল ইসলাম জীওন, মনিরুজ্জামান মনির, ইফতি মোশাররফ সকাল, মুনতাসির আল জেমি, এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ ও মুজতবা রাফিদ।

এ বিভাগের আরো খবর