এডুকেশনাল চ্যারিটেবল অ্যান্ড হিউম্যানিটেরিয়ান অর্গানাইজেশন (ইকো) এবং বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন) মেয়ে শিক্ষার্থীদের কোডিং শেখানোর জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ঢাকার বনানীতে ইকো বাংলাদেশের অফিসে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
স্কুলের মেয়ে শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রামিংয়ের সঙ্গে পরিচিত করা এবং সচেতনতা তৈরির মাধ্যমে ভবিষ্যতের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কাজের উপযুক্ত করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে যৌথভাবে কাজ করবে সংগঠন দুটি।
চলতি মাসের শুরুর দিন থেকে এর পরীক্ষামূলক কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে।
বিডিওএসএন অনলাইন ও অফলাইনে নানা রকম প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে। এই চুক্তির ফলে বিডি গার্লস কোডিং প্রকল্পের মাধ্যমে ইকো বাংলাদেশ ও বিডিওএসএন সম্মিলিতভাবে সারা দেশে স্কুলের মেয়েদের জন্য প্রোগ্রামিং শেখানোর ওয়ার্কশপ ও প্রোগ্রামিং কনটেস্ট আয়োজন করবে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের তথ্যমতে, আগামীতে স্কুল শিক্ষার্থীদের আইসিটি বইয়ে নতুন সংযোজন হিসেবে প্রোগ্রামিং বিষয়টি যুক্ত করা হবে। এই প্রকল্পে স্কুলের মেয়ে শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রামিংয়ের সঙ্গে পরিচিত করা হবে, যেন শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমে প্রোগ্রামিং শেখা সহজ হয়।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিডিওএসএন ও ইকো বাংলাদেশ পারস্পরিক সহযোগিতায় স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিং শেখানো হবে। ইকো বাংলাদেশের অর্থায়নে শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা ও প্রোগ্রামিং ক্যাম্পের আয়োজন করবে বিডিওএসএন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ইকো বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ইকো বাংলাদেশের সভাপতি নওয়াজীস আরা, সাধারণ সম্পাদক আমাতুর রশিদ, সদস্য ড. আহমাদ সালাহুদদীন, কোষাধ্যক্ষ মুহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহিল বাকী এবং শেফা ইনস্টিটিউটের সদস্য আমাতুর রহীম।
বিডিওএসএন-এর পক্ষে ছিলেন বিডিওএসএনের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা।
চুক্তিপত্রে ইকো বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন আমাতুর রশিদ এবং বিডিওএসএনের পক্ষে স্বাক্ষর করেন কানিজ ফাতেমা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত কর্মকর্তা ও সদস্যরা মেয়ে শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রামিং শেখানোর ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ইকো বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আমাতুর রশিদ বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের কার্যক্রমের প্রশংসা করেন এবং একই লক্ষ্যে কাজ করার অঙ্গীকার করেন। ইকো বাংলাদেশের এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য ড. আহমাদ সালাহুদদীন আশা করেন, এই চুক্তির ফলে এখন থেকে মেয়ে শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রামিং শেখা সহজতর হবে।