বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে কমিশন কেন নয়: হাইকোর্ট

  •    
  • ২৮ নভেম্বর, ২০২১ ১৩:৩১

রিটকারী আইনজীবী শিশির মনির জানান, রিট আবেদনে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, অবসরপ্রাপ্ত আইজিপি, অবসরপ্রাপ্ত সচিব, আইনের শিক্ষক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়। রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করে আদালত।

পুলিশসহ সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ তদন্তের জন্য স্বাধীন তদন্ত কমিশন (পুলিশ কমপ্লেইন্ট ইনভেস্টিগেশন কমিশন বা পিসিআইসি) গঠনের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।

বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেয়।

আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ রাসেল চৌধুরী।

পরে রিটকারী আইনজীবী শিশির মনির জানান, রিট আবেদনে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, অবসরপ্রাপ্ত আইজিপি, অবসরপ্রাপ্ত সচিব, আইনের শিক্ষক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়। রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করে আদালত।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের ১০২ আইনজীবীর পক্ষে এ রিট আবেদন করা হয়।

এতে পুলিশ বাহিনী গঠনের উদ্দেশ্য, ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদান, পুলিশের গৌরবময় অর্জনের বর্ণনা দেয়া হয়েছে। তাদের শৃঙ্খলা বিধানের বর্তমান আইনি কাঠামো সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে।

পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে পুলিশ সদস্যদের সংঘটিত অপরাধ ও অসদাচরণের বিবরণ দেয়া হয়েছে। এ-সংক্রান্ত ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ৫৮৯টি ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে।

ঘটনাগুলোর সংবাদ রিট আবেদনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে বলে জানান শিশির মনির।

তিনি আরও জানান, রিটে বিদ্যমান আইনি কাঠামোর দুর্বলতা এবং অভিযোগ তদন্তে স্বাধীন তদন্ত কমিশনের অভাবকে এর প্রধান কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে।

দৃষ্টান্ত হিসেবে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে করা ছয়টি মামলার অনুলিপি সংযুক্ত করা হয়। এসব মামলায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা চূড়ান্ত রিপোর্ট বা আপসের মাধ্যমে অব্যাহতি বা খালাস পেয়েছেন।

রিট আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘তদন্ত’ হলো বিচারের প্রাথমিক ধাপ। ন্যায়বিচারের জন্য প্রধান শর্ত হলো সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্ত। সুষ্ঠু তদন্ত সংবিধানের ৩৫(৩) এবং ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ব্যক্তির মৌলিক অধিকার। বর্তমান আইনি কাঠামোতে পুলিশের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্তভার পুলিশের ওপরই ন্যস্ত। ফলে ওই তদন্ত প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এ বিষয়ে ২০০৭ সালে ‘পুলিশ অধ্যাদেশ’ নামের একটি আইনের খসড়া প্রস্তুত করা হয়। প্রস্তাবিত অধ্যাদেশের ৭১ দফায় ‘পুলিশ কমপ্লেইন্ট কমিশন’ গঠনের বিধান প্রস্তাব করা হয়, তবে সেই খসড়া অধ্যাদেশ আইনে পরিণত হয়নি।

এ বিভাগের আরো খবর