বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পিছিয়ে গেল আবরার হত্যার রায়

  •    
  • ২৮ নভেম্বর, ২০২১ ১২:১৩

আলোচিত মামলাটির রায় ঘোষণার কথা ছিল রোববার। কাঠগড়ায় তোলা হয়েছিল মামলাটির ২৫ আসামির ২২ জনকে। তাদের নামও ডাকা হয়। জনাকীর্ণ আদালতে দুপুর ১২টা ৬ মিনিটে বিচারক জানান, রায় প্রস্তুত করার জন্য আরও কিছুটা সময় দরকার। তাই আগামী ৮ ডিসেম্বর তারিখে এই রায় ঘোষণা করা হবে।

পিছিয়ে দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায়। নতুন তারিখ দেয়া হয়েছে ৮ ডিসেম্বর।

রায় প্রস্তুত না হওয়ায় নতুন তারিখ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত।

আলোচিত মামলাটির রায় ঘোষণার কথা ছিল রোববার। কাঠগড়ায় তোলা হয়েছিল মামলাটির ২৫ আসামির ২২ জনকে। তাদের নামও ডাকা হয়। জনাকীর্ণ আদালতে দুপুর ১২টা ৬ মিনিটে বিচারক আবু জাফর জানান, রায় প্রস্তুত করার জন্য আরও কিছুটা সময় দরকার। তাই আগামী ৮ ডিসেম্বর তারিখে এই রায় ঘোষণা করা হবে।

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আসামিদের প্রিজন ভ্যানে করে আদালত প্রাঙ্গণে নিয়ে আসা হয়। তাদের রাখা হয় আদালতের গারদ খানায়। বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তোলা হয় কাঠগড়ায়

রায় উপলক্ষে সকাল থেকেই ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তাব্যবস্থা। মোতায়েন করা অতিরিক্ত পুলিশ।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের এক দল নেতা-কর্মী। এই ঘটনায় বিক্ষোভে ফেঁটে পড়ে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। এর জেরে প্রতিষ্ঠানটিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় ছাত্র রাজনীতি।

আবরারকে হত্যার পরের দিন চকবাজার থানায় ১৯ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ। ওই বছরের ১৩ নভেম্বর ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক ওয়াহেদুজ্জামান।

আসামিরা সর্বোচ্চ সাজা চাচ্ছেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেটা ভয়ানক নির্মমতার শিকার। যেভাবে তাকে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে তা কোনো মানুষ করতে পারে না। তাই আমার ছেলেকে হত্যার জন্য আমি ও আমার পরিবার আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে বলে আশা প্রকাশ করছি। এই আদালত অবশ্যই ন্যায়বিচার করবে।’

ঢাকার ১ নম্বর ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর আবু আব্দুল্লাহ ভূঁঞা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ ডিগ্রির জন্য এসে দলবাজির নামে চাঁদাবাজি ও র‌্যাগিং কালচার, জোর করে কাউকে আদেশ মানতে বাধ্য করা, সহপাঠী অথবা জুনিয়রদের দিয়ে নানা অপকর্ম করানো এই প্রথা যাতে কোনো শিক্ষাঙ্গনে না থাকে। এসবের বিরুদ্ধে এ মামলার মাধ্যমে সবাইকে সচেতন করে দিতে চাই।

‘মামলায় ৪৬ জন সাক্ষী ভালোভাবে সাক্ষ্য দিয়ে মামলা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। আশা করি, ২৫ আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে।’

অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু বলেন, ‘এই মামলার প্রথম জিডি এফআইআর হিসাবে গণ্য হয় নাই। পরের এজাহারে আসামিদের নাম ঢোকানো হয়েছে। ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে স্বীকারোক্তি আদায়ের বিষয়টি আদালতে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। এই মামলা একটি আলোচিত মামলা হলেও অধিকাংশ আসামি খালাস না হলে সেটা হবে একটি প্রহসনমূলক রায়।’

২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলা বিচারে এসেছিল। দুই পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে গত ১৪ নভেম্বর বিচারক এ মামলার রায়ের জন্য ২৮ নভেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন।

এজাহারের ১৯ আসামি

বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল (সিই বিভাগ, ১৩তম ব্যাচ), সহসভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ (১৪তম ব্যাচ, সিই বিভাগ), সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার (মেকানিক্যাল ইঞ্জনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির (ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জীওন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশারফ সকাল (বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য মুনতাসির আল জেমি (এমআই বিভাগ), সদস্য মুজাহিদুর রহমান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য হোসেন মোহাম্মদ তোহা (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), সদস্য এহতেশামুল রাব্বি তানিম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মাজেদুল ইসলাম (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), আকাশ হোসেন (সিই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), খন্দকার তাবাখ্খারুল ইসলাম তানভীর (মেকানিক্যাল, ১৭তম ব্যাচ), মাহমুদুল জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), মোয়াজ আবু হোরায়রা (সিএসই, ১৭ ব্যাচ), এ এস এম নাজমুস সাদাত (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ)।

এজাহারের বাইরের ৬ আসামি

বুয়েট ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না (মেকানিক্যাল, তৃতীয় বর্ষ), আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং), মিজানুর রহমান (ওয়াটার রিসোসের্স, ১৬ ব্যাচ), শামসুল আরেফিন রাফাত (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং), উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ (কেমিকৌশল) এবং মাহামুদ সেতু (কেমিকৌশল)।

পলাতক ৩ জন

এহতেশামুল রাব্বি তানিম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মাহমুদুল জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ) ও মুজতবা রাফিদ (কেমিকৌশল)।

স্বীকারোক্তি দেয়া ৮ জন

মেহেদী হাসান রবিন, অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মনিরুজ্জামান মনির, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ, এ এস এম নাজমুস সাদাত ও খন্দকার তাবাখ্খারুল ইসলাম তানভীর।

মারপিটে সরাসরি জড়িত ১১ জন

মেহেদী হাসান রবিন, অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মনিরুজ্জামান মনির, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ, শামীম বিল্লাহ, এ এস এম নাজমুস সাদাত, মুনতাসির আল জেমি, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও খন্দকার তাবাখ্খারুল ইসলাম তানভীর।

ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত ১১ জন

মেহেদী হাসান রাসেল, মুহতাসিম ফুয়াদ, মেহেদী হাসান রবিন, অনিক সরকার, মেফতাহুল ইসলাম জীওন, মনিরুজ্জামান মনির, ইফতি মোশাররফ সকাল, মুনতাসির আল জেমি, এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ ও মুজতবা রাফিদ।

এ বিভাগের আরো খবর