‘চাকরি নয় সেবা’ প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশ পুলিশে প্রথমবারের মতো নতুন নিয়োগ বিধি অনুযায়ী ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছেন তিন হাজার প্রার্থী।
কনস্টেবল পদে মেধা ও শারীরিক দিক থেকে অধিক যোগ্য প্রার্থী নিয়োগের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশে কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয় গত ২৫ অক্টোবর। তিন হাজার শূন্য পদের বিপরীতে আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল তিন লাখ ৩৮ হাজার ৫৩৪ জন। প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হন এক লাখ ১৭ হাজার ৬৮ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৬৩৪ ও নারী ১৬ হাজার ৪৩৪ জন।
শারীরিক সক্ষমতা যাচাই শেষে ২৩ হাজার ৬৯৭ প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ পান। তাদের মধ্যে ২১ হাজার ৭৫৯ জন পুরুষ ও এক হাজার ৯৩৮ জন নারী। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সাত হাজার চারশ’ প্রার্থীর মধ্যে কনস্টেবল পদে চূড়ান্ত নিয়োগ পেয়েছেন তিন হাজার।
শনিবার রাতে এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংশোধিত নিয়োগ বিধি অনুযায়ী কনস্টেবল নিয়োগের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ছিল, মেধা ও শারীরিক সক্ষমতার দিক থেকে অধিকতর যোগ্য প্রার্থী নিয়োগ করা। দেশের ৬৪ জেলায় কনস্টেবল নিয়োগ এক অভূতপূর্ব সাড়া ফেলেছে। কোন তদবির বা অর্থের লেনদেন ছাড়াই নিরপেক্ষভাবে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, কনস্টেবল পদে নিয়োগকে কেন্দ্র করে কেউ যাতে অসাধু পন্থা অবলম্বন করতে না পারে সেজন্য পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া চলাকালীন পুলিশ সচেষ্ট ছিল। কয়েকটি জেলায় কনস্টেবল নিয়োগে প্রতারণার অভিযোগে প্রতারকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও নেয়া হয়।
এভাবে কোনো ধরনের তদবির বা অর্থছাড়া কনস্টেবল পদে চাকরি পাওয়া সাধারণ পরিবারের তরুণ-তরুণী এবং তাদের পিতা-মাতার জন্য ছিল স্বপ্নের মত। এসব পরিবারের সন্তানদের কাছে মাত্র ১৩৩ টাকা ফি দিয়ে পুলিশের চাকরি পাওয়া ছিল স্বপ্নাতীত।
কনস্টেবল নিয়োগ সম্পর্কে পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ পুলিশকে উন্নত দেশের উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করেছি। এবারের কনস্টেবল নিয়োগ সে প্রক্রিয়ারই অংশ। ভবিষ্যতে পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর এবং সার্জেন্ট পদেও মেধা ও শারীরিক যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীরাই নিয়োগ পাবেন।