বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অর্থ পাচারকারীর তালিকা থাকলে দিন: অর্থমন্ত্রী

  •    
  • ২৭ নভেম্বর, ২০২১ ২১:১০

সংসদে বিএনপি দলীয় সদস্য রুমিন ফারহানা বলেন, ‘টাকা পাচারের কথা আমরা শুনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তার কাছে লিস্ট আছে যে আমলারা বেশি টাকা পাচার করেন। এখন কারা পাচার করে, কী পাচার করে, কত পাচার করে এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী যদি পরিষ্কার চিত্র দেন তাহলে সৎ আমলারা মুক্ত থাকতে পারেন।’

বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের তালিকা চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। শনিবার সংসদ অধিবেশনে ব্যাংকার বই স্বাক্ষর বিল নিয়ে আলোচনার সময় টাকা পাচার ও খেলাপি ঋণ নিয়ে সংসদ সদস্যদের প্রশ্নের জবাবে তিনি পাচারকারীদের সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য চেয়েছেন।

বিএনপি দলীয় সদস্য রুমিন ফারহানা বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী বলছেন যে আমাদের মন্দ ঋণের পরিমাণ এক লাখ কোটি টাকার মতো। কিন্তু প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদরা বলছেন, কার্পেটের নিচে লুকানো মন্দ ঋণগুলো যোগ করলে এর পরিমাণ দাঁড়াবে সাড়ে তিন থেকে চার লাখ কোটি টাকা।

‘টাকা পাচারের কথা আমরা শুনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তার কাছে লিস্ট আছে যে আমলারা বেশি টাকা পাচার করেন। এখন কারা পাচার করে, কি পাচার করে, কত পাচার করে এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী যদি পরিষ্কার চিত্র দেন তাহলে সৎ আমলারা মুক্ত থাকতে পারেন।’

দেশের ব্যাংকিং খাত নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রুমিন। তিনি বলেন, ‘ব্যাংকে সুদের হার কমে গেছে। যাদের সীমিত আয় তারা ব্যাংক সুদের ওপর চলে। সেখানে সুদ খুবই কম। মূল্যস্ফীতি যদি ছয় ভাগ হয় সেখানে সুদের হার সাড়ে ৫ বা ছয় ভাগ। এখন মধ্যবিত্তরা কোথায় যাবে? বিনিয়োগের পরিবেশ কি আছে? সঞ্চয়পত্রও লিমিট করে দেয়া হয়েছে। মধ্যবিত্তদের যত ভাবে সম্ভব চাপে রাখা হচ্ছে।

‘যখন ব্যাংকের সুদ হার কমে যায় তখন মানুষ শেয়ার বাজারের দিকে ঝোঁকে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যখন আওয়ামী লীগ আসে তখন শেয়ার বাজারেও একটি সমস্যা তৈরি হয়ে যায়। সেখানেও মানুষ টাকা রাখতে ভয় পায়। এ অবস্থায় অর্থমন্ত্রী মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্তের জন্য কি ভাবছেন সেটা জানতে চাই।’

এসব প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল সংসদে বলেন, ‘আমরা জানি একটি দেশের অর্থনীতির মূল চালক হচ্ছে ব্যাংকিং সেক্টর। আমাদের যদি মন্দই হবে তাহলে আজ যখন সারাবিশ্বের টালমাটাল অবস্থা সেখানে সবাই বলছে আমরা ভালো করছি। আপনার কাছে যদি প্রমাণ থাকে যে বাংলাদেশের অর্থনীতি আশপাশের দেশের চেয়ে পেছনে তাহলে অবশ্যই এর সমাধান দায়িত্ব নিয়ে করবো।

‘অর্থনীতি চ্যালেঞ্জিং টাইম অতিবাহিত করছে। এর মধ্যে সারা বিশ্বের অর্থনীতি ৩ ভাগ সংকুচিত হয়েছে। কিন্তু আমাদের এখানে হয়নি। আমাদের সম্পর্কে বলা হচ্ছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে আমাদের অর্থনীতি হবে সারা বিশ্বে ২৫তম। আপনারা যেভাবে বলেন তাতে মনে হচ্ছে দেশে কোনো অর্থনীতি নেই, ব্যাংকিং খাত নেই, কিছুই নেই। কিছুই যদি না থাকবে তাহলে আমরা উন্নয়ন করি কিভাবে? প্রবৃদ্ধি আসে কোথা থেকে? আমরা এগুচ্ছি কিভাবে?’

মোস্তফা কামাল বলেন, ‘অনেক বার এই সংসদে বলেছেন যে টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। আমি বলেছি যে তালিকা দেন। আমি তো পাচার করি না, আমি বিশ্বাস করি আপনারাও পাচার করেন না। সুতরাং পাচার কে করে আমি জানবো কেমন করে যদি আপনারা না বলেন। বার বার বলছি, আমাকে জানান। কাম উইথ দ্য লিস্ট।

‘ব্যাংকিং নিয়ে কিছু তথ্য দিচ্ছি, ২০০৮ সালে দেশে ব্যাংক ছিলো ৪৮টি। এখন দেশে ব্যাংক ২১টি। প্রতিটি ব্যাংক এখন প্রফিটে আছে। ২০০৮ সালে গ্রাহক সংখ্যা ছিল ২৬ শতাংশ। এখন সেটা বেড়ে হয়েছে ৭১ শতাংশ। আমানত ২০০৮ সালে ছিল দুই লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকা, এখন সাড়ে ছয় গুণ বেড়ে তা দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ১৪ কোটি টাকা।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘খেলাপি ঋণ নিয়ে কথা হচ্ছে। খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাংলাদেশ সৃষ্টির পর থেকে এখন সবচেয়ে কম। ২০০৬ সালে খেলাপি ছিলো ১৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। এখন খেলাপি ঋণের পরিমাণ সেপ্টেম্বর কোয়ার্টার পর্যন্ত ১ লাখ ১ হাজার ১৫০ কোটি টাকা। এটা ৮ দশমিক ১২ শতাংশ।

‘আমরা ২০০৭-০৮ সালে করপোরেট ট্যাক্স পেয়েছিলাম দুই হাজার ১৫ কোটি টাকা। এখন শুধু ব্যাংকিং খাত থেকেই আসে ৮ হাজার ৫০৯ কোটি টাকা। এখানে যারা অনিয়ম করে তাদের বিরুদ্ধে আমরা মামলা-মোকদ্দমা করি। এই যে ই-কমার্সের কথা বলছেন তাদের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। চলমান এমন মামলার সংখ্যা দুই লাখ ৪৪টি। এগুলোর সংখ্যা আগে আরো বেশি ছিল। আপনারা যা বলছেন যদি অ্যাকশন নেয়ার মতো হলে অবশ্যই নেয়া হবে। আপনারা আমাকে সাহায্য করুন।’

এ বিভাগের আরো খবর