স্টেট ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ (এসইউবি) আয়োজিত ‘শিল্প-শীক্ষায়তন সংযোগ উন্নয়ন’ শীর্ষক বক্তৃতামালার সপ্তম কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এসইউবির সেমিনার রুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুপালি চৌধুরী।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন এসইউবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল কবির।
অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এসইউবির স্কুল অফ হেলথ সায়েন্সের ডিন অধ্যাপক ডা. নওজিয়া ইয়াসমীন ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের (সিডিসি) পরিচালক আবু তাহের খান।
অনুষ্ঠানে রুপালি চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষিত তরুণকে পেশা পরিকল্পনা প্রণয়নের ক্ষেত্রে অবশ্যই সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করে এগোতে হবে। চেষ্টা করতে হবে নিজের শিক্ষাগত পটভূমি ও ব্যক্তিগত আগ্রহের সঙ্গে মিলিয়ে সেটি ঠিক করা।’
তিনি বলেন, ‘মানসম্পন্ন গুণগত শিক্ষাভিত্তিই হচ্ছে পেশাগত ক্ষেত্রে সফল হওয়ার মূল শর্ত। সেটি চাকরি বা উদ্যেক্তা যাই হোক না কেন। চাকরির বাজারে নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা ভাবে তুলে ধরতে পড়াশোনার কোনো বিকল্প নেই।’
রূপালি চৌধুরী বলেন, ‘প্রতিদিনই উচিত কোনো না কোনো বই পড়া। হতে পারে তা সাহিত্য কিংবা বিশেষ কারও জীবনী। এ অভ্যাস নিয়মিত থাকলে চাকরির ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।’
অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল কবির বলেন, ‘সারা পৃথিবীজুড়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশ ঘটছে। এর ধারাবাহিকতায় কর্মবাজারের ধরন ও চাহিদাতেও নানামাত্রিক পরিবর্তন হচ্ছে। এসইউবি চেষ্টা করছে, অনিবার্য এসব পরিবর্তনজনিত বাজার চাহিদাকে বিবেচনায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমকে ঢেলে সাজাতে।’
তিনি বলেন, ‘শিল্পের অন্যবিধ অভিজ্ঞতাকেও এসইউবি কাজে লাগাতে আগ্রহী। সে আগ্রহ ও উপলব্ধি থেকেই ‘শিল্প-শিক্ষায়তন সংযোগ উন্নয়ন’ শীর্ষক বক্তৃতামালার আয়োজন করা হয়েছে।
ড. মো. আনোয়ারুল কবির বলেন, ‘ব্যবসার জন্য পুঁজি বড় কোনো সমস্যা নয়। মূল সমস্যা সাহসের অভাব। অতএব তোমাদেরকে অবশ্যই সাহসী ও দূরদর্শী হতে হবে।’
অনুষ্ঠানে এসইউবির বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, রেজিস্ট্রার, অনুষদ সদস্য ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় এসইউবির প্রায় ১০০ শিক্ষার্থী অংশ নেন।