ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ফাল্গুনী শপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পাভেল হোসেনসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ। মোছা. ফারজানা আক্তার মিম নামে এক নারীর রিমান্ড নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার ঢাকার মহানগর হাকিম মইনুল ইসলাম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া অপর দুই আসামি হলেন মো. সাইদুল ইসলাম ও আব্দুল্লাহ আল হাসান।
অনলাইনে পণ্যবেচার নামে গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণার মামলায় পাভেল হোসেনের দুই দিন এবং অপর দুই আসামির এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। এছাড়া অস্ত্র আইনের মামলায় একমাত্র আসামি পাভেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আরও দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার এসআই মিল্টন কুমার দেবরাজ চার আসামিকে বিকেলে আদালতে হাজির করেন। প্রতারণার মামলায় চার আসামির সাত দিন এবং অস্ত্র মামলায় পাভেলের আরও সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তিন আসামির রিমান্ড এবং একজনের রিমান্ড নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার পুলিশের উপপরিদর্শক মিল্টন কুমার দেবরাজ।
এর আগে ২৪ নভেম্বর বনশ্রী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করেন র্যাব সদস্যরা। এসময় তাদের কাছ থেকে বিদেশি পিস্তল, গুলি, মদ ও ওয়্যারহাউজ থেকে নানান পণ্য জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৪ এর অধিনায়ক মোজাম্মেল হক বলেন, ‘মে মাসে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) পাভেল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছিল। জামিনে মুক্ত হয়ে ফের প্রতারণা শুরু করেন। অভিযোগ রয়েছে, শতাধিক গ্রাহককে প্রতারণার ফাঁদে ফেলেছেন তিনি। কিছু ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগীর সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিকাল ৫টা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত র্যাব-৪ এর একটি দল রাজধানীর খিলগাঁও থানার বনশ্রী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।’