নওগাঁর আত্রাইয়ে ব্যক্তিমালিকানার জমি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে খাস দেখিয়ে লিজ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার দুপুরে উপজেলা সদরের একটি হোটেলে জমির মালিক নজরুল ইসলামের ছেলে দিনমজুর কুমেদ আলী সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন।
লিজ গ্রহণকারী জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন লিজ নেয়া জমি খাস কি না জানেন না।
লিখিত বক্তব্যে কুমেদ আলী বলেন, তার প্রয়াত দাদা মজিবর প্রাং আত্রাই থানা এলাকার পৈসাঁওতা মৌজার ৩৪৮ এসএ খতিয়ানের ৯০৮ নম্বর দাগে ২ দশমিক ৬৩ একর কাতে ২ দশমিক ৫৪ একর পুকুর জমিদার যতীন্দ্র চন্দ্র গং এর কাছ থেকে প্রজা পত্তন গ্রহণ করেন। পরে মজিবরের ছেলে নজরুল ইসলাম তা পৈত্রিক সূত্রে ভোগদখল করে আসছেন।
সংবাদ সম্মেলনে কুমেদ জানান, তার বাবা নজরুল ইসলামের কাছ থেকে তিনি তা পৈত্রিক সূত্রে পেয়ে ভোগদখল করে আসছেন। একই মৌজায় ১০৮৮ দাগের ধানি জমি খাস রয়েছে। স্থানীয় ভূমি অফিসের কয়েকজন ১০৮০ দাগের ব্যক্তিমালিকানার সেই পুকুরটি খাস করার চেষ্টায় দখল করতে গেলে তিনি বাধা দিলে তা রক্ষা পায়।
তিনি জানান, গত বছরের এপ্রিল থেকে একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমসহ কয়েকজন ১০৮৮ দাগের ধানি জমি সরকারিভাবে লিজ নেয়ার পর ১০৮০ দাগের পুকুরটি খাস বানিয়ে দখলের চেষ্টা করে আসছেন। ভূমি অফিসের কয়েকজনের মাধ্যমে জাহাঙ্গীর তা ১০৮৮ দাগ বানিয়ে বিভিন্ন স্থানে কাগজপত্র জমা দেন। এ ঘটনায় গত বছরের ৩ মার্চ নজরুল আদালতে মামলা করেন। এতে আদালত পুকুরটির ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয়।
ওই জমির লিজ নেয়া জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমি সরকারের কাছ থেকে জমি লিজ নিয়েছি। ওই পুকুর খাস কি না জানি না। বিষয়টি সরকারই ভালো জানে। আদালত থেকে ওই পুকুরের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর থেকে আমি আর ওই পুকুরে যাই না।’
বিশা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী তহশিলদার মেহেদী হাসান বলেন, ‘খাস পুকুর বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই। সরকারের জমিসংক্রান্ত সব কাগজে ১০৮০ দাগটি লেখা থাকলেও ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে সেটাকে ১০৮৮ দাগ বানিয়ে বিভিন্ন স্থানে জমা দেয়ার বিষয়টিও সঠিক নয়। এর বেশি কিছু বলতে চাই না।’