বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কোকো ট্র্যাজেডির এক যুগ

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৭ নভেম্বর, ২০২১ ০৯:২৫

১২ বছর আগের মর্মান্তিক সেই দুর্ঘটনায় স্বজনহারা মানুষের কান্না আজও থামেনি। সেদিনের কথা মনে করে আজও আঁতকে ওঠেন অনেক মানুষ। বাসস জানিয়েছে, দিনটি স্মরণে নানা আয়োজন করেছে বিভিন্ন সংগঠন।

ভয়াবহ কোকো ট্র্যাজেডির এক যুগ আজ। ১২ বছর আগে এই দিনে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভোলার লালমোহন উপজেলার নাজীরপুর ঘাটে এমভি কোকো-৪ লঞ্চডু্বিতে ৮১ যাত্রী প্রাণ হারায়। তার পরের দিন ছিল কোরবানির ঈদ। ওই দুর্ঘটনায় ঈদের আনন্দ রূপ নেয় বিষাদে।

মর্মান্তিক সেই দুর্ঘটনায় স্বজনহারা মানুষের কান্না আজও থামেনি। সেদিনের কথা মনে করে আজও আঁতকে ওঠেন অনেক মানুষ। বাসস জানিয়েছে, দিনটি স্মরণে নানা আয়োজন করেছে বিভিন্ন সংগঠন।

কোকো-৪ দুর্ঘটনায় লালমোহন উপজেলার চর ছকিনা গ্রামের আব্দুর রশিদ ছেলে নূরে আলম সাগর, তার সদ্যোবিবাহিত স্ত্রী ইয়াসমিন, শ্যালিকা হ্যাপি বেগমকে হারান। নূরে আলম ঈদুল আজহা উপলক্ষে নববধূ ও শ্যালিকাকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন, কিন্তু সেই দুর্ঘটনায় ৩ জনই মারা যান।

আব্দুর রশিদের পরিবারের মতো কোকো-৪ দুর্ঘটনায় স্বজন হারা অন্যরাও তাদের বাঁধভাঙা কান্নাকে চেঁপে রাখছেন কষ্টে। স্বজন হারানোর শোকে কাতর এসব পরিবার এখনও বাকরুদ্ধ।

একই এলাকার বাকলাই বাড়ির শামসুন নাহার স্বামী, সন্তান, দেবরসহ একই বাড়ির ১৬ জন নিয়ে কোকো লঞ্চে রওনা হয়েছিল বাড়িতে ঈদ করার জন্য। বাড়ির কাছের ঘাটে এসেই লঞ্চডুবিতে নিহত হয় তার মেয়ে সুরাইয়া, ভাশুরের মেয়ে কবিতা ও দেবর সোহাগ। সেই থেকেই শামসুন নাহার শোকে কাতর।

শামসুন নাহারের মতো কোকো-৪ লঞ্চ দুর্ঘটনায় কেউ হারিয়েছেন পিতা-মাতা, কেউ হারিয়েছে সন্তান, কেউবা ভাই-বোন আর পরিবারের উপার্জনক্ষম একমাত্র ব্যাক্তিকে। সেদিনের সেই মর্মান্তিক ট্র্যাজেডির কথা মনে করে শোক সাগরে ভাসছে পুরো লালমোহন।

লালমোহন প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জসিম জনি বলেন, দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই ছিল লালমোহন উপজেলার বাসিন্দা। এর মধ্যে শিশু ছিল ৩৬ জন। বর্তমানে ঢাকা-লালমোহন রুটে একাধিক বিলাসবহুল অত্যাধুনিক লঞ্চ চালু করা হয়েছে। ঘাটগুলোরও করা হয়েছে আধুনিকায়ন। দুর্ঘটনায় সে সময় মেরিন আইনে দুটি মামলা করা হয়েছিল।

এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনায় নিহত পরিবারদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে। আগামী দিনে যাতে আর কোনো নৌদুর্ঘটনা না ঘটে এবং ঈদের সময় অতিরিক্ত যাত্রী ও ফিটনেসবিহীন লঞ্চ চলাচল করতে না পারে, সেই ব্যাপারে সচেষ্ট রয়েছে প্রশাসন।

এ বিভাগের আরো খবর