১৯৮৯ সাল থেকে নীলফামারী পৌরসভার চেয়ারম্যান ও মেয়র তিনি। পাঁচবার ভোটের লড়াইয়ে নেমে প্রতিবারই এলাকাবাসীর মন জয় করতে পেরেছেন তিনি। এবার ষষ্ঠবারের ভোটের ময়দানে তিনি।
নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ এবারও মেয়র হতে পারবেন কি না, সে সিদ্ধান্ত শহরবাসী জানাবে রোববার। সেদিন দেশের নানাপ্রান্তে কয়েক শ ইউনিয়নের পাশাপাশি কয়েকটি পৌরসভাতেও ভোট হবে।
ভোটের আগে শেষবারের প্রচারে শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের প্রধান শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বক্তব্য রাখেন কামাল আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘১৯৮৯ সাল থেকে টানা পাঁচবার আপনাদের সমর্থন নিয়ে আমি এলাকার মানুষের সেবা ও উন্নয়ন করে চলেছি। অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে নীলফামারী পৌরসভা আজ দেশে বিশেষ স্থান করে নিয়েছে। সারাদেশের পৌরসভাগুলোর নেতৃত্ব দেয়ার জন্য আমাকে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।’
আবারও নির্বাচিত হলে অসমাপ্ত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করে নীলফামারী পৌরসভাকে আধুনিক মানসম্মত পৌরসভায় গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেন কামাল আহমেদ।
নগরবাসীকে কোনো ভূল কোন সিদ্ধান্ত না নেয়ার জন্য পৌরবাসীর প্রতি অনুরোধ করেন তিনি। বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে সু-সম্পর্ক এবং সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে আসা যাওয়ার কারণে সংশ্লিষ্ঠদের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে অনেক উন্নয়ন প্রকল্প এই পৌরসভায় নেয়ার সুযোগ হয়েছে। অন্য কেউ এটি পারবে না।’
কামাল আহমেদ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে চান বলে যে প্রচার আছে, সে বিষয়েও তার অবস্থান তুলে ধরেন তিনি। জানান, সদর আসন নীলফামারী-২ এর সংসদ সদস্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর যতদিন প্রার্থী হবেন, তত দিন তিনি মনোনয়ন ফরম তুলবেন না।
তিনি বলেন, ‘তার (আসাদুজ্জামান নূর) মতো একজন মানুষের সাথে নিজেকে তুলনা করা বেয়াদবির শামিল। তার কাছ থেকে আমি শিখি, অভিজ্ঞতা অর্জন করি, তিনি অনেক বড় মাপের মানুষ।’
নীলফামারী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মসফিকুল ইসলাম রিন্টুর সভাপতিত্বে সমাবেশে পঞ্চগড় পৌরসভার মেয়র জাকিয়া খাতুন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হকও বক্তব্য দেন।
সমাবেশের আগে কয়েক হাজার নারী ও পুরুষ নৌকা প্রতীকের সমর্থনে মিছিল করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় খোলা জিপে জনতার উদ্দেশে হাত নাড়ান কামাল আহমেদ।