গাজীপুর মহানগরীতে দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। স্ত্রীর বোনকে ফোন করে স্ত্রীকে হত্যার বিষয়টি ওই যুবক স্বীকারও করেছেন। সেই ফোনালাপের রেকর্ড পেয়েছে নিউজবাংলা।
মহানগরীর তারাগাছ এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ির সিঁড়ি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় জুয়েনা আক্তার জোনাকি নামের ওই নারীকে উদ্ধার করেন স্বজনরা। তাকে টঙ্গীর শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থেকেই পলাতক তার স্বামী সুজন মিয়া।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা জোনের সহকারী কমিশনার আহসান হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ২১ বছরের জুয়েনার বাড়ি সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে। স্বামী ও পরিবারের সঙ্গে তিনি গাজীপুর থাকতেন। তার স্বামী সুজন রডমিস্ত্রি।
জুয়েনার বোন রোজিনা বেগম জানান, প্রেমের সম্পর্কের পর পারিবারিকভাবেই তিন বছর আগে সুজন ও জুয়েনার বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে নানা বিষয়ে কলহ লেগে থাকত। শুক্রবার বিকেলে স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে যান সুজন। সেখান থেকে ফিরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে স্ত্রীকে বাড়ির ছাদে নিয়ে যান তিনি। কিছুক্ষণ পর সুজনকে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখেন এলাকার লোকজন। হইচই শুনে ঘরের লোকজন বের হয়ে দেখে ছাদের সিঁড়িতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন জুয়েনা।
স্বজনরাই জুয়েনাকে হাসপাতালে নেন। সেখানে তার মৃত্যু হয়।
রোজিনা আরও জানান, ঘটনার পর তার মোবাইলে কল দিয়ে সুজন হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন। সেই অডিও রেকর্ডে সুজনকে বলতে শোনা গেছে, ‘আপা আমি রাজেন্দ্রপুর আছি। আমাকে মাফ করে দিয়েন। আর এক ঘণ্টার মতো আছি। আমি নিজেও শেষ, ওরেও শেষ করে দিছি। ও বাঁইচা থাকলে থাক, না থাকলে আমারে মাফ করে দিয়েন। আমি নিজেরে শেষ করে দিছি। মাফ করে দিয়েন আমারে। ও (জুয়েনা) মরছে নাকি বাইচ্চা আছে? ওই জনমে ওর লগে আমার দেখা হইব।’
জুয়েনার বাবা রাকিব আলী জানান, সুজন মাদকাসক্ত ছিলেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তা আহসান হক জানান, সুজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।