বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মুম্বাই হামলা: তদন্ত আটকে আছে পাকিস্তানে

  •    
  • ২৬ নভেম্বর, ২০২১ ২০:০০

হামলার দশ বছর পর পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে এই হামলায় ইসলামাবাদের ভূমিকা রয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকেও প্রমাণ দেয়া হয়ে। এরপরও পাকিস্তান নিহতদের পরিবারকে ন্যায়বিচার দেয়ার ক্ষেত্রে সততা দেখায়নি।

ভারতের মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার ১৩ বছর পূর্ণ হলো ২৬ নভেম্বর। ২০০৮ সালের এই দিনে ওই হামলায় নিহত হন ১৫ দেশের ১৬৬ জন নাগরিক। সন্ত্রাসীরা আইকনিক তাজমহল প্যালেস হোটেল, নরিম্যান হাউস, মেট্রো সিনেমা ও ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনালসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় হামলা চালায়।

নৃশংস ওই হামলার ১৩ বছরেও তদন্ত কাজ শেষ হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, ওই হামলায় সংশ্লিষ্ট অনেকে পাকিস্তানে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হামলার তদন্ত কার্যক্রম আটকে আছে পাকিস্তানে।

২৬/১১ নামে পরিচিত ওই হামলায় আজমল কাসাব নামে একজন মাত্র হামলাকারী নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি নিশ্চিত করেন লস্কর-ই-তৈয়েবাসহ পাকিস্তানকেন্দ্রিক বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী সংগঠন এই হামলার পরিকল্পনা করেছিল। হামলাকারীদের সবাই পাকিস্তান থেকে মুম্বাইয়ে আসে। হামলার সময় পাকিস্তান থেকেই তাদের নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

হামলার দশ বছর পর, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে এই হামলায় ইসলামাবাদের ভূমিকা রয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে প্রমাণও দেয়া হয়েছিল। এরপরও পাকিস্তান নিহতদের পরিবারকে ন্যায়বিচার দেয়ার ক্ষেত্রে সততা দেখায়নি।

এই ১৩তম বার্ষিকীতে পাকিস্তান হাইকমিশনের কূটনীতিককে তলব করেছে ভারত।

এর আগে ৭ নভেম্বর পাকিস্তানের একটি আদালত হামলায় জড়িত হিসেবে সন্দেহভাজন ছয় সন্ত্রাসীকে মুক্তি দেয়। এদের মধ্যে মুম্বাই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযুক্ত হাফিজ সাঈদের সঙ্গে হামলার কৌশল নির্ধারণে জড়িতরাও ছিল।

হাফিজ সাঈদ লস্কর-ই-তৈয়বা ও এর দাতব্য শাখা জামাত-উদ-দাওয়ার প্রতিষ্ঠাতা, যা জাতিসংঘ কর্তৃক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে।

এই মামলায় তদন্ত স্থগিত রেখেছে পাকিস্তান। সে কারণে বিচার বিলম্বিত হচ্ছে। অন্যদিকে, জাতিসংঘের সন্ত্রাসবিরোধী সংস্থার নজরদারির কারণে তদন্ত এড়াতে পাকিস্তানের সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো তাদের নাম পরিবর্তন করেছে।

ভারত সরকার এই সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে পাকিস্তানে বেশ কিছু ডসিয়ার পাঠিয়েছে। এর ভিত্তিতে পাকিস্তানে সাতজনকে আসামি করা হয়। এত কিছুর পরও ২৬/১১ হামলার মূল অভিযুক্তদের কাউকেই বিচার বা দোষী সাব্যস্ত করা হয়নি।

পাকিস্তানের হাইকমিশনের একজন সিনিয়র কূটনীতিককে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তলব করে। এ সময় বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য অনুরোধ করা হয়।

এদিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এটি গভীর বেদনার বিষয় যে ২৬/১১ মুম্বাই হামলার ১৩ বছর পরও ১৬৬ জন নিহতের পরিবার মামলা নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে।’

পাকিস্তানি কূটনীতিকের কাছে হস্তান্তর করা একটি নোটে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাকিস্তানকে তার নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলগুলোতে ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অনুমতি না দেয়ার প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে বলেছে।

এ বিভাগের আরো খবর