যদি একটি পরিবার দ্বারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে কোনো দল পরিচালিত হয়, তবে তাকে সুস্থ গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
শুক্রবার ভারতের সংসদে ‘সংবিধান দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিরোধী দল কংগ্রেসকে লক্ষ্যবস্তু করে এমন মন্তব্য করেন মোদি।
এর আগে কংগ্রেসসহ ১৪টির বেশি বিরোধী দল ওই অনুষ্ঠান বয়কট করে। সংবিধান দিবস উদযাপন বর্জনকারী বিরোধী দলগুলোকে তিরস্কার করে তাই মোদি বলেন, ‘পরিবারচালিত দলগুলো, যারা নিজেরাই গণতান্ত্রিক গুণাবলি হারিয়েছে তাদের দ্বারা দেশের গণতন্ত্র রক্ষার আশা করা যায় না।’
তিনি দাবি করেন, যারা বাবাসাহেব আম্বেদকরের নাম সংযুক্ত সংবিধান গ্রহণ উদযাপনের জন্য একটি দিন নির্ধারণের বিষয়ে প্রশ্ন তোলে, তাদের কথা শোনার জন্য দেশ প্রস্তুত নয়।
মোদি বলেন, ‘আজ কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত ভারতের প্রতিটি কোণে তাকান, দেশটি এমন একটি সংকটের দিকে এগিয়ে চলেছে এবং এটা ঘটছে পরম্পরাগত পরিবারকেন্দ্রিক দলগুলোর কার্যকলাপে। সংবিধানকে সম্মান করে এমন প্রত্যেক ব্যক্তির উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। রাজনৈতিক দল, পরিবারের জন্য দল, পরিবার দ্বারা দল সংবিধানের নীতির বিরুদ্ধে।’
এদিকে বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, বর্তমান সরকার বিতর্কিত ইস্যুতে ঐকমত্য না গড়ে সংসদকে এড়িয়ে সংবিধানকে উপহাস করছে।
মোদি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোও সংবিধানকে জনগণের কাছে নিয়ে যাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু সংবিধানের চেতনা আঘাত পেয়েছে, সংবিধানের প্রতিটি ধারাও আঘাত পেয়েছে, যখন রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরাই তাদের গণতান্ত্রিক চরিত্র হারিয়েছে। যে দলগুলো নিজেরাই তাদের গণতান্ত্রিক চরিত্র হারিয়েছে, তারা কীভাবে গণতন্ত্র রক্ষা করবে?’
২৬/১১ মুম্বাই সন্ত্রাসী হামলায় শহীদ সেনাদের স্মরণ করে মোদি বলেন, ‘আজ আমাদের জন্য এমন একটি দুঃখের দিন, যখন দেশের শত্রুরা দেশের ভেতরে এসে মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলা করেছিল। দেশের বীর সেনারা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে জীবন উৎসর্গ করেছেন। আজ সেসব ত্যাগের প্রতিও প্রণাম।’
সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠান বয়কটের কারণ হিসেবে কংগ্রেস দাবি করেছে, বিজেপি সংবিধান মানছে না। তাই এই কর্মসূচি থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
অনুষ্ঠান বর্জনকারী অন্যান্য দলের মধ্যে আছে তৃণমূল কংগ্রেস, বাম দল, সমাজবাদী পার্টি, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, শিবসেনা, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগ এবং ডিএমকে।