বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুর্গম এলাকায় বিদ্যুৎ দিতে নতুন উদ্যোগ চান প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ২৬ নভেম্বর, ২০২১ ১৮:৩৪

২০০৯ সালে দেশে বিদ্যুতের গ্রাহকসংখ্যা ছিল ১ কোটি ৮ লাখ। বর্তমানে এ সংখ্যা বেড়ে ৪ কোটি ১৪ লাখে উন্নীত হয়েছে। এ ছাড়া ২০০৯ সালে সেচ সংযোগ ছিল ২ লাখ ৩৪ হাজার, বর্তমানে সেচ সংযোগের সংখ্যা ৪ লাখ ৪৬ হাজার। ২০০৯ সালে বিদ্যুৎ খাতে সরকারের বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা। গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বিদ্যুৎ খাতে ২৮ হাজার ৫৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।

এখনও যারা বিদ্যুৎ-সুবিধার বাইরে আছেন, তাদের এই সুবিধা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চর এবং দুর্গম অঞ্চলের মানুষের জন্য বিদ্যুৎ নিশ্চিত করে শতভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ-সুবিধা দিতে প্রয়োজনে নতুন প্রকল্প নিতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

দেশের ৯৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ মানুষকে বিদ্যুৎ-সুবিধার আওতায় আনা গেলেও রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার চরাঞ্চলের কয়েক হাজার পরিবার এখনও বিদ্যুৎ-সুবিধার বাইরে আছে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে এলে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বিষয়টি শুক্রবার গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর দ্রুততম সময়ে চর ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের অবশিষ্ট মানুষকে বিদ্যুৎ সেবার আওতায় আনতে কাজ শুরু করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

তোফাজ্জল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোনো বাড়ি বা পরিবার অন্ধকারে থাকবে না। তার নির্দেশনা অনুযায়ী শতভাগ মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় আনার যে লক্ষ্য, সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি।’

পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনের (পিডিবিএফ) তথ্য অনুযায়ী, ‘বাংলাদেশের বিদ্যুৎবিহীন প্রত্যন্ত এবং চর এলাকায় সৌরশক্তির উন্নয়ন প্রকল্প’-এর আওতায় রংপুরের সদর ও গঙ্গাচড়া উপজেলা এবং লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা উপজেলায় মোট ১২ হাজার ১৭০টি সোলার হোম সিস্টেম বসানোর কথা ছিল।

এখন পর্যন্ত সেখানে ৯ হাজার ৮৪৫টি সোলার সিস্টেম স্থাপন করতে সক্ষম হয় বাস্তবায়নকারী সংস্থা পিডিবিএফ।

গঙ্গাচড়ায় সর্বশেষ নির্বাচিত ৪ হাজার ৫০৪ পরিবারের মধ্যে থেকে যারা কন্ট্রিবিউশনের অর্থ ও এনআইডি জমা এবং অন্যান্য শর্ত পূরণ করেছেন, তাদের মধ্যে চলতি বছরের জুনে ৭১২ পরিবারকে সোলার হোম সিস্টেম দেয়া হয়।

৩০ জুন প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও তালিকাভুক্ত ৯০ পরিবারের মাঝে সোলার হোম সিস্টেম বিতরণ করতে পারেনি পিডিবিএফ। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে আসলে তার নির্দেশে তাৎক্ষণিকভাবে একটি বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করে সেই ৯০ জনের বাড়িতে সোলার হোম সিস্টেম বসানো হয়।

একই সঙ্গে বিদ্যুৎ-সুবিধার বাইরে থাকা অন্য পরিবারগুলোকেও দ্রুত বিদ্যুৎ নেটওয়ার্কের আনার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

সরকারপ্রধানের নির্দেশে বিদ্যুৎ-সুবিধার বাইরে থাকা গঙ্গাচড়ার অবশিষ্ট ৩ হাজার ৭০৮ পরিবারকেও দ্রুত বিদ্যুৎ-সুবিধার আওতায় আনার কাজ শুরু করেন সংশ্লিষ্টরা।

পিডিবিএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহম্মদ মউদুদউর রশীদ সফদার বলেন, ‘রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার চরাঞ্চলের ৩ হাজার ৭০৮ পরিবারকে কীভাবে বিদ্যুতের আওতায় আনা যায় সে লক্ষ্যে আমরা পল্লী বিদ্যুতের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করছি।’

তিনি বলেন, ‘যেসব প্রত্যন্ত অঞ্চলে পল্লী বিদ্যুতের লাইন টানা যাবে না সেখানে সোলার হোম প্যানেল সিস্টেম বসানোর মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।’

বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে এখন পর্যন্ত ৬২ লাখ হোম সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে। এসব সোলার প্যানেলের মাধ্যমে ২৬৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। নামমাত্র মূল্যে বিতরণ করা এসব সোলার প্যানেল সিস্টেমের মাধ্যমে বিদ্যুৎ-সুবিধার আওতায় এসেছেন ২ কোটি মানুষ।

২০০৯ সালে দেশের ৪৭ শতাংশ জনগোষ্ঠী বিদ্যুৎ-সুবিধা পেত। বর্তমান সরকার গত এক যুগে বিদ্যুৎ খাতে অগ্রাধিকার দিয়ে দেশের ৯৯ দশমিক ৭৫ ভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ সেবার আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে।

বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২৫ হাজার ২৩৫ মেগাওয়াট। যেখানে ২০০৯ সালে এ সক্ষমতা ছিল ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট।

বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, ২০০৯ সালে দেশে বিদ্যুতের গ্রাহকসংখ্যা ছিল ১ কোটি ৮ লাখ। বর্তমানে এ সংখ্যা বেড়ে ৪ কোটি ১৪ লাখে উন্নীত হয়েছে। এ ছাড়া ২০০৯ সালে সেচ সংযোগ ছিল ২ লাখ ৩৪ হাজার, বর্তমানে সেচ সংযোগ সংখ্যা ৪ লাখ ৪৬ হাজার।

২০০৯ সালে বিদ্যুৎ খাতে সরকারের বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা। গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বিদ্যুৎ খাতে ২৮ হাজার ৫৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।

এ বিভাগের আরো খবর