বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খালেদাকে স্লো পয়জনিং করলে ফখরুলরা করছেন: কাদের

  •    
  • ২৬ নভেম্বর, ২০২১ ১৮:০৮

‘ফখরুল সাহেব বলেছেন, বেগম জিয়াকে নাকি স্লো পয়জনিং করা হচ্ছে। আমি তাকে জিজ্ঞেস করতে চাই, তার (খালেদা জিয়া) পাশে থাকেন আপনারা, ফখরুল সাহেবরা । তাকে যে খাওয়ায় সে পরিবারেই লোক, তার আশপাশে সর্বক্ষণ ঘোরাফেরা করে বিএনপির লোকেরা। আওয়ামী লীগ কিংবা সরকারের কেউ তার পাশে থাকে না। তার ব্যক্তিগত পছন্দের চিকিৎসকরাই চিকিৎসা দিচ্ছেন। স্লো পয়জনিং যদি করে থাকে তাহলে পাশের লোকেরাই করতে পারে। হুকুমের আসামি শেখ হাসিনা হবেন না, হলে ফখরুল সাহেব আপনি হবেন।’ 

হাসপাতালে অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছে- এই সন্দেহ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পর এবার করলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তবে ক্ষমতাসীন দলের নেতা মনে করেন, এই বিষ প্রয়োগ মির্জা ফখরুলরাই করেছেন।

কারাগারে বিএনপি নেত্রীকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে দলের মহাসচিবের বক্তব্যের পরদিন বিষয়টি নিয়ে এমন প্রতিক্রিয়া জানালেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক।

শুক্রবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন সন্দেহ প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, ‘খালেদা জিয়ার কিছু হলে এর দায় সরকারের নেই। দায় মির্জা ফখরুলদেরই নিতে হবে।’

২০১৮ সালে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাগারে যাওয়ার দুই বছর পর প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত হওয়ার পর ২০২০ সালের মার্চে মুক্ত হন খালেদা জিয়া। তাকে কারাগার থেকে বাসায় ফেরার সুযোগ দেয়া হয় দেশের বাইরে যাবেন না- এমন শর্তে।

তবে বিএনপি তার নেত্রীকে এখন দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ৪০১ ধারায় নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়া বিষয় নিয়ে পুনরায় বিবেচনার কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশের আইনের বইয়ে এটা নাই।

সেই আইনি বিতর্কে না গিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন, কারাগারে তাদের নেত্রীকে স্লো পয়জনিং করা হয়ে থাকতে পারে। বিদেশে গেলে ধরা পড়ে যাবে বলে সরকার সেই অনুমতি দিচ্ছে না।

জবাবে কাদের বলেন, ‘ফখরুল সাহেব বলেছেন, বেগম জিয়াকে নাকি স্লো পয়জনিং করা হচ্ছে। আমি তাকে জিজ্ঞেস করতে চাই, তার (খালেদা জিয়া) পাশে থাকেন আপনারা, ফখরুল সাহেবরা । তাকে যে খাওয়ায় সে পরিবারেই লোক, তার আশপাশে সর্বক্ষণ ঘোরাফেরা করে বিএনপির লোকেরা। আওয়ামী লীগ কিংবা সরকারের কেউ তার পাশে থাকে না। তার ব্যক্তিগত পছন্দের চিকিৎসকরাই চিকিৎসা দিচ্ছেন।

‘স্লো পয়জনিং যদি করে থাকে তাহলে পাশের লোকেরাই করতে পারে। হুকুমের আসামি শেখ হাসিনা হবেন না, হলে ফখরুল সাহেব আপনি হবেন।’

ফখরুলের উদ্দেশে বিএনপি নেতা বলেন, ‘আপনাদের পছন্দের লোকেরা চিকিৎসা করাচ্ছেন। এখানে আওয়ামী লীগকে জড়াচ্ছেন কেন? শেখ হাসিনা কেন হুকুমের আসামি হবেন? বেগম জিয়াকে আপনারা মাইনাস করার জন্য স্লো পয়জনিং করছেন কি না, সেই রকম কিছু করবেন বলেই কি উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপাতে আওয়ামী লীগের ওপর?’

খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারের কোনো দায় নেই উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘কোনো কিছু হলে এর দায় বিএনপিকেই নিতে হবে, মির্জা ফখরুল সাহেবদের নিতে হবে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, দেশের সংবিধান ও আইন দ্বারা দেশ পরিচালিত হচ্ছে। দেশের প্রচলিত আইন ও সাংবিধানিক নিয়মনীতির মধ্যে যতটুকু সম্ভব তার সবটুকু সুযোগ বেগম জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন। শেখ হাসিনার মানবিক হৃদয়ের কল্যাণে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি খালেদা জিয়া বাসায় থাকছেন। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নেয়ার সর্বোচ্চ সুযোগ পাচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ‘হতে পারেন খালেদা জিয়া বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু আইনের চোখে তিনি একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, তার বর্তমান পরিচয় সাজাপ্রাপ্ত আসামি, এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।’

বিএনপি নেতারা প্রধানমন্ত্রীর উদারতাকে প্রতিহিংসা বলতে দ্বিধা করছেন না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘এই দেশের রাজনীতিতে বিএনপি প্রতিহিংসার জন্ম দিয়েছে।’

খালেদা জিয়ার চিকিৎসাকে কেন্দ্র করে কোনো নৈরাজ্য হলে তার প্রতিহত করারও ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। বলেন, ‘আজকে মির্জা ফখরুল সাহেব বড় বড় কথা বলেন। দ্বার্থ্যহীন ভাষায় বলতে চাই। কারো চিকিৎসার নামে জনগণকে জিম্মি করা যাবে না।কোন ইস্যু সৃষ্টি করে শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গ, নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করলে সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ তা প্রতিহত করবে।‘

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান, আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান ও উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর