পাবনা জেলার সদরের দৌগাছি ইউনিয়নের কুড়ুনিয়া গ্রামে বাড়ি ১০ বছরের তোয়া খাতুনের। সেখানকার একটি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে সে।
ছুটির দিনে বাবা-মায়ের সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে কুষ্টিয়ায় আত্মীয়র বাড়ি যাচ্ছিল সে। পথে খানাখন্দে ভরা সড়কের গর্তে পড়ে যায় মোটরসাইকেলটি। তোয়া ছিটকে পড়ে রাস্তায়। পেছনে থাকা ট্রাকের চাপায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনা ঘটেছে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী জাতীয় মহাসড়কে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে।
তালবাড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) শ্যামা প্রসাদ রায় ঘটনাটি নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘সকালে মোকাররম মুন্সি, তার স্ত্রী ও মেয়ে তোয়াকে নিয়ে মোটরসাইকেলে পাবনা থেকে কুষ্টিয়া শহরে আত্মীয়র বাড়ি যাচ্ছিলেন। রানাখড়িয়া এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেলটি রাস্তার গর্তে পড়ে যায়। তিনজনই রাস্তায় পড়ে যায়। সে সময় পেছনে থাকা ট্রাক তোয়াকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।’
তিনি জানান, তোয়ার বাবা-মাকে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রায় চার মাস আগে সড়কের এই অংশ দেবে গিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ত্রিমোহনী থেকে ভেড়ামারা পর্যন্ত এই সড়কের ১২ কিলোমিটার অংশেও দেবে গেছে। সেখানে যান চালাতে চালকদের রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়।
সড়ক বিভাগ মাঝে মাঝে ইট-সুরকি ফেলে সড়কটি যান চলাচলের উপযোগী করে। দুয়েকদিনের মধ্যেই সেগুলো সরে যায়।
কুষ্টিয়া সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, এই সড়কটি পুনর্নির্মাণের জন্য ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। তিনি দুয়েকদিনের মধ্যেই কাজ শুরু করবেন।