‘আমরা ভেতরে ছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। দেখি মূল সার্কিট থেকে ধোঁয়া উঠছে। সেখানে কিছু তেল পড়েছিল। তা থেকে দাউদাউ করে জ্বলে উঠে আগুন’... কথাগুলো বলছিলেন মো. সুমন।
চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের পাশের রাসায়নিক কারখানায় আগুন লাগার সময় ভেতরে ছিলেন ৫ শ্রমিক। তাদের একজন এই সুমন।
তিনি বলেন, ‘আমরা পাঁচজন ছিলাম। চারজন দ্রুত বের হয়ে যাই। একজন আটকা পড়েছিল। পরে তিনিও বেরিয়ে আসেন।’
মো. ইসলাম নামের আরেক শ্রমিক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ছুটির দিন হওয়ায় আমরা কয়েকজন ছিলাম। কাজের সময় ফ্লোরে যে তেলগুলো পড়ে সেসব পরিষ্কার করছিলাম।
‘হঠাৎ বিকট শব্দ শোনার একটু পর দেখি আগুন জ্বলছে চারদিকে। আমি ভেতরের দিকে ছিলাম। তাই বের হতে কষ্ট হয়েছে। কিন্তু কারো তেমন ক্ষতি হয়নি।’
তদন্তের পর আগুনের সূত্রপাত নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপপরিচালক নিউটন দাশ।
তিনি বলেন, ‘নিশ্চিত না হয়ে কিছু বলতে পারছি না। শ্রমিকরা বলছে, শট সার্কিট থেকে এমন হয়েছে। কিন্তু আমরা তো নিশ্চিত না হয়ে বা তদন্ত শেষ না করে কিছু বলতে পারছি না।’
হোমল্যান্ড কেমিক্যাল ইন্ড্রাস্ট্রিজের পরিচালক মুনতাসীর আলম বলেন, ‘শুনেছি বৈদ্যুতিক সার্কিটে শব্দের পর কোনোভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ধারণা করছি, তিন থেকে সাড়ে তিন কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
কারখানায় কী তৈরি হতো জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আমরা গ্রীজ উৎপাদন করে আসছি।’
সাগরিকার স্টেডিয়ামের পাশে বিটাক বাজার এলাকার হোমল্যান্ড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ নামের কারখানায় শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আগুন লাগে।