মাগুরায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। একদিনের ঘোষণায় বৃহস্পতিবার একযোগে টিকা দিতে গিয়ে বিশৃঙ্খলা ও ভোগান্তির শিকার হয়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
বৃহস্পতিবার সকালে মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার কাজ উদ্বোধন করেন মাগুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মোছা. নাসিমা বেগম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট বীরেন সিকদার, জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম, সিভিল সার্জন ডা. শহীদুল্লাহ দেওয়ানসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার ছয়টি কেন্দ্রে ১১ হাজার ১৫ জন পরীক্ষার্থীকে ফাইজারের টিকা দেয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টিকা দেয়া হয়।
এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের টিকার জন্য যে সব কেন্দ্র করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, সরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, শ্রীপুর ডিগ্রি কলেজ, মহম্মদপুর ও শালিখা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভা কক্ষ।
এদিকে হঠাৎ ঘোষনায় টিকা নিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে জানান অনেক শিক্ষার্থী।
মাগুরা সরকারি কলেজে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মাসুদ হোসেন বলেন, ‘টিকা নেয়ার খবর শুনেছি সকালে, এরপর তড়িঘড়ি করে বন্ধুদের নিয়ে এসেছি। ঘণ্টা দুয়েক দাড়িয়ে আছি। ধীর গতিতে টিকা দেয়ায় বাড়ছে লাইন।’
তাবাস্সুম মারিয়া নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘রাতে টিকার কথা শুনে ছুটে চলে এসেছি। অনেকে আসতে পারেননি সংবাদ না জানার কারণে।’পরীক্ষার্থী শারমীন বলেন, ‘সকালে এসেছি, রেজিষ্ট্রেশন কার্ড চেক করতেই দুপুর। কয়েক দিন পরই পরীক্ষা, এ সময়ে টিকা নিতে গিয়ে প্রায় পুরো দিন চলে যাচ্ছে।’
একজন অভিভাবক বলেন, ‘মেয়ের পরীক্ষা এক সপ্তাহ পর। বুধবার রাতে ফেসবুকের মাধ্যমে জানলাম পরীক্ষার্থীদের টিকা দিতে হবে। বাধ্য হয়ে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে, তারপর টিকা কেন্দ্রে এসেছি। এতে তাড়াহুড়ার কারণ বুঝতে পারছি না।’
সিভিল সার্জন শহীদুল্লাহ দেওয়ান জানান, ফাইজারের টিকা শিক্ষার্থীদের জন্য পুরোপুরি নিরাপদ। এই টিকা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ ছাড়া রাখা যাবে না। তাই সতর্কতা অবলম্বন করতে গিয়ে কিছুটা দেরি হচ্ছে। প্রশিক্ষিত সিনিয়র নার্সদের মাধ্যমে টিকা দেয়া হচ্ছে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আলমগীর কবীর বলেন, ‘বুধবার রাতে টিকা আসবে শুনেই আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সংবাদ দিয়েছি। একটা ছক করে ৬ কেন্দ্রে ১১ হাজার ১৪ জন পরীক্ষার্থীর টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করেছি।'