বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সেই মেয়র আব্বাসের ওপর সব কাউন্সিলরের অনাস্থা

  •    
  • ২৬ নভেম্বর, ২০২১ ০১:৪৩

জরুরি সভায় অনাস্থা প্রস্তাব আনেন নারী কাউন্সিলর হোসনে আরা। পরে সর্বসম্মতিক্রমে সেটি প্রস্তাব পাস হয়। এ সময় মেয়র আব্বাসকে অপসারণের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর লেখা অনাস্থা প্রস্তাবের আবেদনে ১২ কাউন্সিলরই স্বাক্ষর করেন।

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণ প্রতিহতের ঘোষণা দেয়া রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীকে পদ থেকে সরানোর দাবিতে অনাস্থা প্রস্তাব পাস করেছেন কাউন্সিলররা।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পৌরসভা ভবনের সভাকক্ষে কাউন্সিলরদের জরুরি সভায় অনাস্থা প্রস্তাব আনেন নারী কাউন্সিলর হোসনে আরা। পরে সর্বসম্মতিক্রমে সেটি পাস হয়। এ সময় মেয়র আব্বাসকে অপসারণের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর লেখা অনাস্থা প্রস্তাবের আবেদনে ১২ কাউন্সিলরই স্বাক্ষর করেন।

রাত পৌনে ১১টায় ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মজিদ জানান, রাতেই তারা জেলা প্রশাসকের বাসভবনে গিয়ে আবেদন জমা দেবেন। এ সময় ১০ জন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে কাটাখালীতে পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল হয়েছে। পৌরসভার শত শত নারী-পুরুষ ঝাড়ু হাতে এই মিছিলে অংশ নেন। মিছিল শেষে বিক্ষোভ সমাবেশে মেয়রের পদ থেকে তাকে অপসারণসহ দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণ প্রতিহতের ঘোষণা দেয়ায় কাটাখালী পৌরবাসীর ব্যানারে এ ঝাড়ু মিছিলের আয়োজন করা হয়। শেষে বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পৌরসভা যুবলীগের আহ্বায়ক জনি ইসলাম। পরে সেখানে আব্বাস আলীর কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়।

ইতিমধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল বসানোয় আপত্তি তোলায় পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আব্বাস আলীকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

আব্বাস আলী রাজশাহীর কাটাখালী পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক। ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে তিনি প্রথমবার মেয়র নির্বাচিত হন। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন।

ঘরোয়া একটি আলোচনায় মেয়র আব্বাস বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনের বিরোধিতা করে কথা বলেন। গত সোমবার এই আলোচনার অডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

১ মিনিট ৫১ সেকেন্ডের বক্তব্য শোনা যাচ্ছে, তিনি একজনকে বলছেন, ‘সিটি গেট আমার অংশে। …ফ্রার্মকে দিয়েছে তারা বিদেশি স্টাইলে সাজিয়ে দিবে; ফুটপাত, সাইকেল লেন টোটাল আমার অংশটা। কিন্তু একটু থেমে গেছি, গেটটা নিয়ে। একটু চেঞ্জ করতে হচ্ছে… যে ম্যুরালটা দিয়েছে বঙ্গবন্ধুর সেটা ইসলামি শরিয়ত মতে সঠিক নয়। এ জন্য আমি ওটা থুব না (রাখব না), সব করব তবে শেষ মাথাতে যেটা… ওটা (ম্যুরাল)।’

মেয়র আব্বাস আলী বলছেন, ‘আমি দেখতে পাচ্ছি, ম্যুরালটা ঠিক হবে না দিলে। আমার পাপ হবে; তো কেন দিব, দিব না। আমি তো কানা না, যেভাবে বুঝাইছে তাতে আমার মনে হয়েছে, ম্যুরালটা হলে আমার ভুল করা হবে।

‘এ খবরটা যদি যায় তাহলে আমার রাজনীতির বারোটা বাজবে যে এই ম্যুরাল দিছে না। তাহলে বঙ্গবন্ধুকে খুশি করতে গিয়ে… আল্লাহকে নারাজ করব নাকি। এ জন্য কিছু করার নাই। মানুষকে সন্তুষ্ট করতে গিয়ে আল্লাহকে অসন্তুষ্ট করা যাবে না।’

মেয়রের অডিওটি কোন সময়ে বা কাদের সঙ্গে আলাপের, সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এ বিভাগের আরো খবর