বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিদ্রোহীতে ঠাসা আ.লীগ, স্বতন্ত্র বেশে মাঠে বিএনপি

  •    
  • ২৫ নভেম্বর, ২০২১ ২১:৩২

সুনামগঞ্জ সদর ও শান্তিগঞ্জের ইউপিগুলোতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হয়ে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ২২ জন। আর স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ছেন ১৪ বিএনপি নেতা। সব মিলিয়ে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী ১০৯ জন।

সুনামগঞ্জ সদর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে টেক্কা দিতে মাঠে সরব বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। প্রতিদ্বন্দ্বিতায় স্বতন্ত্র হিসেবে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছেন বিএনপি নেতারাও। এই নির্বাচনকে ঘিরে দুই উপজেলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন চাঙা।

তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে এই দুই উপজেলায় ১৭টি ইউনিয়নে ভোট হবে আগামী ২৮ নভেম্বর।

এই ইউপিগুলোতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হয়ে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ২২ জন। আর স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ছেন ১৪ বিএনপি নেতা। সব মিলিয়ে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী ১০৯ জন।

এর মধ্যে সদর উপজেলার ৯ ইউনিয়নে ৬৫ জন ও শান্তিগঞ্জের ৮ ইউনিয়নের প্রার্থী ৪৪ জন।

ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা বিএনপি নয়, বিদ্রোহী নেতাদের নিয়ে বেশি শঙ্কিত।

সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি নূরুল হুদা মুকুট বলেন, ‘নৌকার মানুষ হয়ে যারা নৌকার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন, তাদের চিহ্নিত করা হবে। তবে বিদ্রোহী প্রার্থী বেশি হওয়ার আরেকটি কারণ দলের তৃণমূলের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন না করা।

‘সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সঠিক ব্যক্তিকে বাছাই করে যদি কেন্দ্রে নাম পাঠাতেন তাহলে এত বিদ্রোহী আসতো না। তবে আমার ভয় হয়, শেষমেষ তারাই না নৌকা ডুবায়।’

মোল্লাপাড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মনির উদ্দিনের নির্বাচনি সভা

গৌরারং ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী ছালমা আক্তার চৌধুরী বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এই অঞ্চলে আমি নারীদের নিয়ে কাজ করে গেছি। তাই দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। তবে যারা নৌকার বিরোধীতা করে প্রার্থী হয়েছেন তারা নিজে জয়ী হবে কি না ঠিক নেই, কিন্তু ভোটগুলো নষ্ট করবে। আমি চাইবো দল তাদের চিহ্নিত করুক।’

এই ইউনিয়নে দল থেকে বিদ্রোহ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন চম্পা বেগম। তিনি বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম, কিন্তু সেটা তারা অন্য কাউকে দিয়েছে। তবে আমার আশেপাশে ইউনিয়নবাসীর অনুরোধে আমি স্বতন্ত্র দাঁড়িয়েছি। আশা করি জয় আমার হবে।’

শান্তিগঞ্জের পাথারিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামছুল ইসলাম বলেন, ‘দলের মানুষ যদি দলের সিদ্ধান্ত না মানিয়া স্বতন্ত্র দাঁড়ায় তখন বুঝি লাওয়া উচিত তারা কেমন আওয়ামী লীগ। তবে আমি ইতা নিয়া চিন্তা কররাম না। শুধু শুধু সাধারণ ভোটাররারে বিব্রত করার লাগিই ইতা।’

একই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা ও বিদ্রোহী প্রার্থী শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘দল আমাকে মূল্যায়ন না করলেও জনগণ আমাকে ভালোবাসে। তাই আমি অবহেলিত পাথারিয়া ইউনিয়নবাসীর জন্য কিছু করতে চাই। আমি আশাবাদী মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে।

বিদ্রোহীদের বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এনামুল কবির ইমন বলেন, ‘ইতোমধ্যে ৫ জন বিদ্রোহীকে বহিষ্কারের চিঠি আমরা পেয়েছি। বাকিদেরও তালিকা করা হবে। দলীয় বিদ্রোহীদের আওয়ামী লীগে কোনো স্থান নেই।’

তবে বিদ্রোহীদের নিয়ে বিএনপি নেতাদের কোনো আপত্তি নেই।

লক্ষণশ্রী ইউনিয়নে বিএনপি নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল ওয়াদুদের গণসংযোগ

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নুরুল বলেন, ‘বিএনপি যেহেতু মনোনয়ন দেয়নি তাই নেতারা স্বাধীন। তারা স্বতন্ত্র হিসেবে ভোটযুদ্ধে লড়বেন এবং এটা তাদের ব্যক্তিগত।’

এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফুল মিয়া বলেন, আমি বিএনপির সাথে জড়িত, এ ইউনিয়নের মানুষ আমাকে ভালোবাসে তাই আমি আবার এ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি, আশা করি আবারও আমি সাধারণ মানুষের হয়ে কাজ করার সুযোগ পাব।

এ বিভাগের আরো খবর