বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাবেক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে হুমকি দেয়ার অভিযোগ স্বতন্ত্র প্রার্থীর

  •    
  • ২৫ নভেম্বর, ২০২১ ১৯:৫৬

স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ আহম্মেদ ৩০ বছরের বেশি সময় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত থাকলেও দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়নি জানিয়ে অভিযোগ করেন, তার নির্বাচনি প্রচারে বাধা দেয়ার পাশাপাশি কর্মীদের হত্যার হুমকিসহ বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে। জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে কোনো পদে না থেকেও আচরণবিধি ভেঙে সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ নৌকার প্রার্থীকে জয়ী করতে বড়ধুল ইউনিয়নকে অশান্ত করে তুলছেন।

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সাবেক মন্ত্রী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে হুমকি ও প্রচারে বাধা সৃষ্টির অভিযোগ করেছেন এক স্বতন্ত্র প্রার্থী।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বেলকুচির নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন ৬ নম্বর বড়ধুল ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ফরিদ আহম্মেদ।

৩০ বছরের বেশি সময় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত থাকলেও দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়নি জানিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, তার নির্বাচনি প্রচারে বাধা দেয়ার পাশাপাশি কর্মীদের হত্যার হুমকিসহ বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে। জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে কোনো পদে না থেকেও আচরণবিধি ভেঙে সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ নৌকার প্রার্থীকে জয়ী করতে বড়ধুল ইউনিয়নকে অশান্ত করে তুলছেন।

প্রচারে বাধা সৃষ্টির অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘আমি শুক্রবার মজিরুল হক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পথসভা করার জন্য স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে লিখিত আবেদন করেছি, কিন্তু আমার পথসভা ভণ্ডুল করতে আব্দুল লতিফের নির্দেশে নৌকা প্রার্থী শেষ মুহূর্তে একই স্থানে একই দিনে এবং একই সময়ে পাল্টা নির্বাচনি সভা আহ্বান করেছেন।

‘এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ ব্যাপক রক্তপাত ও প্রাণহানি হতে পারে বলে আমি ও আমার কর্মীরা শঙ্কিত।’

তার নির্বাচনি প্রচারে অথবা নির্বাচনের দিন যেকোনো ধরনের সহিংসতার জন্য সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ দায়ী থাকবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এ বিষয়ে আব্দুল লতিফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

বড়ধুল ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আছির উদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী যে অভিযোগ দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি মজিরুল হক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ২৬ নভেম্বর পথসভা করার জন্য গত ৯ নভেম্বর প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছি।

‘আমি কখনই তার কোনো কর্মীকে হুমকি-ধমকি দেইনি। আমার কোনো কর্মী তার একটি পোস্টারও ছেড়েনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার নেতা আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে যে সব কথা বলেছেন তাও সঠিক না। তিনি আমার নির্বাচনি প্রতীক নৌকার পক্ষে সবার কাছে ভোট চাচ্ছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী তার পরাজয় জেনেই আমার ও আমার নেতা আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা কথা ছড়াচ্ছেন।’

বেলকুচি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহম্মদ রায়হান কুদ্দুস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। একই স্থানে নির্বাচনি সভা, প্রচার-প্রচারণার কারণে কোনো প্রকার আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) যে কোনো আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেন।’

বেলকুচি উপজেলার ইউএনও আনিসুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি বিষয়টি অবগত আছি। দুই প্রার্থীকেই ডেকেছি সমঝোতা করার জন্য। যদি সমঝোতা না হয় তাহলে ওই এলাকায় কোনো প্রকার পথসভা করতে দেয়া হবে না। প্রয়োজনে ১৪৪ ধারা জারি করা হবে।’

সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফের বিষয়ে তিনি কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি জানিয়ে বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বড়ধুল ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিরুল হক উচ্চবিদ্যালয় মাঠে পথসভা করার জন্য আমাদের কাছে অনুমতি চেয়ে গত ১৬ নভেম্বর আবেদন করেছেন। অপর দিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীও পথসভার অনুমতি চেয়েছেন। আমরা ইউএনও সাহেবের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়ে আপনাদের জানাব।’

এ বিভাগের আরো খবর